গাজীপুরে বেতনভাতাসহ পাওনাদি পরিশোধ না করে গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রবিবার দিনভর অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করেছে।

আন্দোলনরত শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকার কাঁথা কম্পোজিট লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেশ কিছুদিন ধরে ফেব্রুয়ারি মাসসহ দুই মাসের বেতন-ভাতা এবং পাওনাদি পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিল। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের একাধিকবার আশ^াস দিয়েও তা পরিশোধ করেনি। সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করে বৃহষ্পতিবার (২৮ মার্চ) ওই বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বুধবার (২৭মার্চ) গভীর রাতে কোন নোটিশ না দিয়ে কারখানার গেইটে তালা ঝুলিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে চলে যায় কর্মকর্তারা। পরদিন বৃহষ্পতিবার শ্রমিকরা তাদের পাওনাদির জন্য কারখানায় যায়। এসময় তারা কারখানার গেইটে তালা ঝুলতে দেখে উঠে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেতনভাতাসহ পাওনাদি পরিশোধ না করে গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেল পর্যন্ত তারা কারখানার গেইটে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এতে কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা রবিবার সকালে কারখানার গেইটে জড়ো হতে থাকে। এসময় তারা তাদের পাওনাদি পরিশোধের দাবীতে কারখানার গেইটে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেলে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তারা কারখানা গেইটে অবস্থান করছিল।

এ ব্যাপারে কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক (পিএম) নান্নু মোহাম্মদ জানান, আমার নিজেরও আট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৮ মার্চ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি আমি এ কারখানায় কাজ করব না। তিনি আরো জানান, অর্থিক সংকটের কারণে বিদ্যুত বিল পরিশোধ না করায় প্রায় এক মাস আগে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ কারখানায় বিদ্যুত সংযোগ কেটে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় কারখানার চেয়ারম্যান বিদ্যুত কুমার বসু ২৮ এপ্রিল শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধর আশ^াস দিলেও শ্রমিকরা তা না মেনে অবস্থান ধর্মঘট করার কথা শুনেছি।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলে সুরাহার চেষ্টা চলছে। তবে শ্রমিকরা যাতে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।