রেলের সেবা বাড়াতে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় রেল লাইন সম্প্রসারণ করা হবে। নতুন রেল বর্ধিত করছি। নতুন নতুন রেল চালু করার মধ্য দিয়ে জনগণের যে চাহিদা তা পূরণে চেষ্টা করা হচ্ছে। রেল একটি নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ মাধ্যম।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজবাড়ী সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ী জেলায় রেলওয়ে ঐতিহ্য রয়েছে। এ জেলাতে রেলের প্রশাসনিক ভবন ও কারখানা গড়ে তোলা হবে। পর্যায়ক্রমে রেলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের পর থেকে রেলে নতুন কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এসময়ে হাজার হাজার কর্মী অবসরে গেছেন। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট এক সঙ্গে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে। সেসময় রেল অভিভাবকহীন সংস্থায় পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বর্তমান সরকার সেখান থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করছে। সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে রেল চলাচল শুরুর পর রেলের সব সম্পদ অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হবে।

পহেলা বৈশাখে রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেনের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এ ট্রেনটি শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন চলবে। এভাবেই রেলের উন্নয়ন করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী সার্কিট হাউজে মন্ত্রীকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এসময় দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মন্ত্রী।

বেলা সাড়ে ৩টায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে বিকেল ৪টায় শহরের আজাদী ময়দান সংলগ্ন প্রস্তাবিত অডিটোরিয়াম নির্মাণ কাজের পরিদর্শন এবং জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মজিবুর রহমান, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শওকত আলী, জেলা পরিষদ সদস্য ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী প্রমুখ।