শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাই-চেষ্টা নস্যাতে সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট পাইলট ও কেবিন ক্রুদের সম্মাননা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এছাড়া বিমাএনর প্রধান কার্যালয় ডাটা সেন্টারে অগ্নিনির্বাপণে সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য বিমানের দুই জন আইটিকর্মীকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ মে) বিমানের প্রধান কার্যালয়ে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন ক্যাপটেন মো. গোলাম শাফি, ফার্স্ট অফিসার মুনতাসির মাহবুব, পার্সার শাফিকা নাসিম নিম্মি, জুনিয়র পার্সার হোসনে আরা, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস শরিফা বেগম রুমা, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড সাহেদুজ্জামান সাগর, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড মো. আব্দুস সাকুর মোজাহিদ, অ্যাসিটেন্ট সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রাক্টর তপু বডুয়া ও সিনিয়র ডাটা প্রসেসিং অ্যাসিটেন্ট জহিরুল আলম চৌধুরী।

বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাইলট ও ক্রুদের হাতে প্রশংসাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ,পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট) মো. মমিনুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা, বিক্রয় ও বিপণন) মাহবুব জাহান খাঁন, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (গ্রাহক সেবা) আতিক সোবহান ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার বিনিত সুদ, মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে পলাশ আহমেদ নামের এক দুষ্কৃতকারী। তবে পাইলট ও ক্রুদের দূরদর্শিতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করান পাইলট। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় কমান্ডো অভিযানে ছিনতাইচেষ্টাকারী মারা যায়।