বিদেশি বিনিয়োগ টানতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর মত সৌদি আরব এধরনের সুবিধা দিচ্ছে। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৬ সালে দেশটির ২০৩০ ভিশন’এর অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেন। সৌদিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাওয়া বিদেশি নাগরিকরা দেশটিতে সম্পদের মালিক হতে পারবেন এবং নির্বিঘেœ ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন। এজন্যে তাদের আর আগের মত সৌদি স্পন্সর লাগবে না। স্থায়ী বসবাসের সুবিধাপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকরা চাকরি পরিবর্তন, পরিবারের সদস্যদের নেয়া ও সহজে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। আগামী বছরেই এ খাত থেকে ১ হাজার কোটি ডলার আয়ের আশা করছে সৌদি আরব। এরাবিয়ান বিজনেস

সৌদিতে স্থায়ী আবাসন সুবিধা পেতে বেশ কয়েক হাজার বিদেশি নাগরিক আবেদন জানায়। এজন্যে স্থানীয় মুদ্রায় ৮ লাখ রিয়াল ফি ও  তা নবায়নে বছর আরো ১ লাখ রিয়াল জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রথম দফায় ১৯টি দেশের ৭৩ জন নাগরিককে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন বিনিয়োগকারী, চিকিৎক, প্রকৌশলী ও লগ্নিকারক। সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সৌদি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই এ উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ শ্রমিক যখন সৌদিতে বিশে^র সবচেয়ে কঠোর আবাসন বিধি মেনে কর্মরত হয়েছে ঠিক তখন বিদেশি নাগরিকদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ রীতিমত যুগান্তকারী ঘটনা মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সৌদি আরব ধনী ব্যক্তিদের একদিকে স্থায়ী আবাসনের সুযোগ দিলেও অন্যদিকে বিদেশি শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর বিভিন্ন ধরনের মাসিক ফি বৃদ্ধি, স্থানীয় নাগরিকদের কর্মসংস্থানের জন্যে বিদেশি লোকবল ছাঁটাই সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যেগের সমালোচনা হচ্ছে। তবে এসব উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে সৌদি কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি করা কারণ দেশটিতে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।