যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়েছে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। ব্যাপক সংখাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতেই এই নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস। এই বিশাল বিজয়ের ফলে দেশটির জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষেই রায় দিলো। হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২৬টিরও বেশি আসন পেয়েছে বরিসের দল। শুক্রবার বিপুল বিজয়ে উচ্ছসিত বরিস ঘোষণা দিলেন, আমরা ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাচ্ছি, কোনো যদি-কিন্তু নয়। অন্যদিকে লেবার পার্টি পেয়েছে ২শ’র কাছাকাছি আসন পেয়েছে। ভরাডুবির তকমা মাথায় নিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই লেবার পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জেরিমি করবিন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ঐক্যের ইস্তেহার এখনো জনপ্রিয় কিন্তু ব্রেক্সিটের পক্ষে সমর্থনের জোয়ারে সেই নীতির পরাজয় হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ‘ব্রেক্সিট’ প্রশ্নেই এক বছরের মধ্যে তৃতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটেনে। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তা পার্লামেন্ট পাস হতে হবে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে সেই সম্ভাবনাও জোরালো হয়েছে। নির্বাচন পূর্ববর্তী কয়েকটি জরিপে জয়ের আভাস পেয়ে বরিস জনসন আগেই জানিয়েছিলেন, ভোটের পর ব্রেক্সিট কার্যকরের পথ সহজ হবে। দেশের জনগণ কনজারভেটিভ পার্টিকে বিজয়ী করে ব্রেক্সিট কার্যকর করার পক্ষেই রায় দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের এতটা জনসমর্থন প্রকাশ পাবে তা কনজারভেটিভ পার্টির অনেক নেতাও আশা করেন নি। এমনকি লেবার পার্টির দুর্ভেদ্য ঘাঁটি বলে পরিচিত বেশ কিছু আসনেও বিজয় নিশ্চিত করেছে কনজারভেটিভরা। অন্যদিকে জরিপে পরাজয়ের ইঙ্গিত পাওয়ার পর বিরোধী শিবিরেদলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে। দলের মধ্যে অনেকেই জেরিমি করবিনের পদত্যাগ দাবি করলে নির্বাচনের পরেই তিনি সরে যাবেন বলে আভাস দিয়েছিলেন।