বঙ্গবন্ধু বিপিএলের গ্র“প পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে রাজশাহী রয়্যালস। আগে ব্যাট করে রাজশাহীকে ১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ছুঁড়ে চট্টগ্রাম। জবাবে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রয়্যালস। আর এই জয়েই চট্টগ্রামকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে রাজশাহী রয়্যালস।

চট্টগ্রামের ১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী। রয়্যালসের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার লিটন দাস। লিটনের ব্যাটে ভর করেই ৮ উইকেট জয় পায় রয়্যালস। এছাড়া লিটনের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ব্যাট করতে নামা আফিফ হোসেন করেন ৩১ বলে ৩২ রান। দলীয় ৮৮ রানে নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে আফিফ ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

এরপর শোয়েব মালিকের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে নিয়ে যান দলের কাছে। তবে জয় থেকে মাত্র ১৮ রান দূরে থাকতে ব্যক্তিগত ৭৫ রানে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যান লিটন। ৪৭ বলে ১১টি চার আর একটি ছয়ের ইনিংস সমাপ্ত হয় জিয়াউর রহমানের শিকার হয়ে। এরপর বাকিটা পথ পাড়ি দেন শোয়েব মালিক এবং আন্দ্রে রাসেল। মালিক অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে আর রাসেল করেন দুই রান।চট্টগ্রামের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ এবং জিয়াউর রহমান।এর আগে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহী। দুই দলেরই প্লে অফ নিশ্চিত হওয়ার পরেও এই ম্যাচটি গুরুত্বহীন ছিলো না। এই ম্যাচ জিতলে নিশ্চিতভাবেই শীর্ষে থেকে গ্র“প পর্ব শেষ করবে চট্টগ্রাম আর রাজশাহী জিততে পারলে সম্ভবনা থাকবে তাদেরও শীর্ষে থেকে গ্র“প পর্ব শেষ করার।

উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস গেইল আর জুনায়েদ সিদ্দিকী শুরুটা দারুণ করেন। তবে ব্যক্তিগত ২৩ রানে জুনায়েদ ফিরে গেলে গেইলের সঙ্গে জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস। এদিনও নামে প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন গেইল। ২১ বলে মাত্র ২৩ রান করে গেইল যখন ফিরে যায় চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে রান সংখ্যা তখন মাত্র ৬০।

গেইল ফিরলে যেন রানের চাকা থেমে যায় চ্যালেঞ্জার্সদের। গেইলের পর ১৮ বলে ১৯ রান করে ফেরেন ইমরুল কায়েস। এরপর শতক স্পর্শ করার আগেই ফিরে যান চ্যাডউইক ওয়াল্টন। তবে শেষ দিকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর নুরুল হাসান সোহানের ৩৮ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নুরুল হাসান সোহান করেন ১৬ বলে ৩০ আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন অপরাজিত ৩৪ বলে ৪৮ রান।

রাজশাহীর হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী, শোয়েব মালিক, আফিফ হোসেন এবং তাইজুল ইসলাম। তবে রানের লাগান টেনে ধরার কাজটি করেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফান। চার ওভার বল করে একটি উইকেট নিতে তিনি খরচ করেন মাত্র ২৪ রান। অন্যদিকে শোয়েব মালিক ৩ ওভারে দেন মাত্র ১১ রান।এই জয়ে গ্র“প পর্বে নিজেদের ১২ ম্যাচে দু’দলেরই সমান ৮ জয়। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকার কারণে চট্টগ্রামকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে রাজশাহী রয়্যালস।