মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আইএমইআই যাচাই ও রসিদ নিতে বলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি বলছে, গেল বছরের ১ আগস্ট থেকে যে সব ক্লোন বা নকল আইএমইআই সম্বলিত এবং অবৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রয়েছে, সেগুলো নেটওয়ার্ক হতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মোবাইল সেট কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে বিটিআরসি।

এতে বলা হয়েছে, বিটিআরসিতে খুব ‍শিগগিরই স্থাপিত হতে যাচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)’। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে।

বিদেশ থেকে আনা মোবাইল সেটগুলোর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বলেন, হ্যান্ডসেট ক্রয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (ক্রয় রশিদ) দেখিয়ে তা বৈধ করতে পারবেন।

বিটিআরসি বলেছে, মোবাইল ফোনের কেনার সময় মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে 16002 তে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের বক্সে বা প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#06# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষকিভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যায়। বৈধ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ক্রয়ে এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছে বিটিআরসি।

আরও জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেটে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম কাজ করবে না। নির্দিষ্ট সময় পর কোনো সিমই কাজ করবে না। ফলে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করবেন। সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে। নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।