টঙ্গীর পশ্চিম থানার আউচপাড়া মোল্লাবাড়ি এলাকায় এক কিশোর জ¦র ও শ^াস কষ্ট নিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে মারা গেছে। তার নাম সাকিব (১৬)। সে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার মঠবাড়ি এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

নিহতের বাবা ও স্বজনরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর পশ্চিম থানার আউচপাড়া মোল্লাবাড়ি এলাকার মনিরুল ইসলামের বাসায় দুই ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী, শাশুড়ি নিয়ে তিনি প্রায় ২০বছর ধরে বসবাস করছেন বিল্লাল হোসেন। তার বড় ছেলে সাকিব গত কয়েকদিন ধরে জ¦র, ঠান্ডা, শ^াস কষ্টে ভ’গছিল। গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গত ৬ এপ্রিল তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বুধবার ভোর রাত সোয়া তিনটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। ছেলের লাশ চাইলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দেয়নি। তিনি টঙ্গীর ভাড়া বাসায় বাসা ফিরে গেছেন। সকলেই তাদের ঘরে অবস্থান করছেন। বুধবার বিকেল পৌণে ৫টার দিকেও করোনা প্রতিরোধ কমিটির কোন লোকজন তার বাসায় যায়নি বলেন তিনি।

জিএমপি টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. এমদাদুল হক জানান, মোবাইলে খবর পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন মোল্লাকে জানিয়েছি। সিভিল সার্জন সাহেবকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোনটি রিসিভ না করায় ঘটনাটি বলতে পারেননি। আপাততঃ লোক চলাচল সীমিত করার জন্য ওই বাড়ির রাস্তাটি লকড করা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগরীর ৫৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা জানান, বিষয়টি গাজীপুরের সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর লাশ ফেরত দিলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করার পরামর্শ দেন। স্থানীয়ভাবে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এ যাবত কেউ তাদের কারো স্যাম্পল নেয়নি। কুর্মিটোলা হাসপাতালে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।