গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় পুলিশ সদস্যসহ আরও এক দম্পতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ওই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩০ জনে। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ। তিনি জানান, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মুকসুদপুর থানার ১৬ পুলিশ সদস্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চারজন, টুঙ্গিপাড়ায় পাঁচজন, কাশিয়ানীতে চারজন (স্থিতিশীল) ও কোটালীপাড়া উপজেলায় একজন (স্থিতিশীল) রয়েছেন।

গোপালগঞ্জ জেলা থেকে মোট ৩৭৯ জনের নমুনা পাঠানো হয় জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এ পর্যন্ত আইইডিসিআর থেকে পাঠানো ২৮৯ জনের ফলাফলে মোট আক্রান্ত ৩০ জন। আক্রান্তদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ১২ পুলিশ সদস্যের নমুনা গত ১৮ এপ্রিল আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছয়জনের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মুকসুদপুর থানার ১৬ পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

গত ১১ এপ্রিল মুকসুদপুর থানার এক কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই থানার পুলিশ সদস্যের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে, গত ৯ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়ায় এক দম্পতির শরীরে করোনা শনাক্তের মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে প্রথম করোনার অস্তিত্ব মেলে। সেই টুঙ্গিপাড়া উপজেলাতেই আবারও এক দম্পতির করোনা পজেটিভের খবর এলো সোমবার। এ নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় দুই দম্পতি মিলে মোট পাঁচজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন জানান,  এ উপজেলায় নতুন আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে ডুমুরিয়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে গোপালগঞ্জ সদরের গোলাবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে করোনায় আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। ওই রোগীর সংস্পর্শে এসে তার পরিবারের এক সদস্য নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।