করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ছুটিতে থাকা রাজশাহী রেলস্টেশনে ট্রেনের লরি থেকে প্রায় ১১ হাজার লিটার তেল চুরি করা হয়েছে। তেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে জিআরপি থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় রাজশাহী রেলওয়ের এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তেল পাম্পে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, লরির হেলপার ইলিয়াস হোসেন, যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পশ্চিম রেলওয়ের চিফ ইলেট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান জানান, তেল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাসানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় ও রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মী সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেশ কয়েক ট্রাক তেল চুরি করা হয়। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে এক ট্রাক তেল চুরির সময় বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা ওই ট্রাকটি ধরে ফেলেন। তবে ট্রাকচালক পালালেও ধরা পড়েন চালকের সহকারী। রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা ট্রাকটি জব্দ করেছেন। একই সঙ্গে তেল চুরিতে ব্যবহার করা মেশিনগুলো জব্দ করা হয়।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল করিম জানান, ২০ এপ্রিল ঈশ্বরদী থেকে ৩০ হাজার লিটার তেল রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। গতকাল ওই লরি থেকে ১১ হাজার লিটার তেল চুরি হয়।

রাজশাহী রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল বলেন, ‘স্টেশনে তেলবাহী বেশ কয়েকটি লরি তেল এনেছে পদ্মা ও যমুনা ওয়েলের। এর মধ্যে শুধু একটা বগি সিলভার রঙ্গের। সেটিতে সরকারি তেল ছিল, এই তেল সরকারি কাজের জন্য। তেলগুলো স্টেশনের ভেতরের একটি ট্যাংকিতে রাখা হয়। কিন্তু সেই তেলগুলো ট্রাকে ভর্তি করা হচ্ছিল। এ সময় বিষয়টি জানাজানি হলে হাতেনাতে তিনজনকে তেলসহ আটক করা হয়।’