গাজীপুরে ঈদের দিন (সোমবার) বাবার কবর জিয়ারতের সময় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় র‌্যাব-১’র সদস্যরা দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম রাব্বী বাবু (২৬)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ চতর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদর থানার শিমুলতলী শান্তিবাগ (মসজিদ সংলগ্ন) এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ভাঙ্গারী রাজ্জাক (৩৫) এবং একই থানার দক্ষিণ চতর (চান্নার মাঠ) এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মনির হোসেন ওরফে চোরা বাবু (৩৬)। এদের মধ্যে রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কোড়াকান্দি এলাকায়।

সদর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ভূইয়া ও নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার ঈদের নামাজ শেষে রাব্বী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানে তার বাবার কবর জিয়ারত করতে যান। এসময় চাকমা বাবু নামের এক যুবকের মোবাইল ফোন পেয়ে তিনি শিমুলতলী বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ চতরের স্বপ্ননীড় আবাসিক প্রকল্প এলাকায় যান। এসময় সেখানে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাব্বীকে এলোপাথারী কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তারা জানান, রাব্বী বাবু গাড়ি চালক ও ভাঙ্গারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি স্থানীয় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রাজ্জাকের কাছে ২লাখ টাকা পেতেন। ওই পাওনা টাকা চাওয়ার কারণে প্রায় দুই বছর আগে রাব্বীর সঙ্গে তার প্রতিপক্ষের লোকজনের বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। ওই ঘটনায় রাব্বী’র বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা চলছিল।

র‌্যাব-১’র পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, খুনের এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরদিন মঙ্গলবার ভোরে শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১’র সদস্যরা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রাজ্জাক ও মনির হোসেন ওরফে চোরা বাবুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।