দেশে করোনাভাইরাসে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯ জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩৫ জনে। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৮৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে মোট এক লাখ ৩০ হাজার ২৯২ জন সুস্থ হলেন।

আজ বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ২৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ১২৭টি নমুনা। এনিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৫১ হাজার ২৫৮টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ১১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন এবং নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, বরিশাল বিভাগের চারজন, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন করে এবং রংপুর বিভাগের একজন।

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮২৭ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬৬৯ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৪৬ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৪৭ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৩১৬ জনকে।
প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এক হাজার ৯৫৫ জনকে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৪৪ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৭০ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭০০ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ২৪৪ জন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।