নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে আবারও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের এ সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় সংঘর্ষকারীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিষ্ফোরণ, গাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দফায় দফায় কোম্পানীগঞ্জ থানার পশ্চিম পাশে, রূপালী চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা ১৫মিনিট) বসুরহাট পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটছে। তবে পুলিশ এখনও গুলি ছুঁড়েনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চারজন পুলিশ সদস্য। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২১জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি দোকানপাট ও অটোরিকশা ।