লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিমকে মারধোর করে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আসাদুজ্জামান লেবু (৪০) এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিম বাদী হয়ে আসাদুজ্জামান লেবুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আসাদুজ্জামান লেবু উপজেলার উত্তর সিন্দুর্না এলাকার মৃত রহমতুল্লাহ এর ছেলে।

থানায় করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সিন্দুর্না ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিম। সে তার ব্যবহারের জন্য একটি প্রাইভেট কার ক্রয় করেন। তা দেখে একই এলাকার অভিযুক্ত লেবু মিয়া সেলিমের বড় ভাই অসুস্থ শাহিনকে নানা রকম বাজে উপহাস করে। এমত অবস্থা গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সেলিম বাসা হতে তার কার যোগে উপজেলা সদরে আসার সময় উত্তর সিন্দুর্নার তমর চৌপুতি এলাকায় আসাদুজ্জামান লেবু এর গলামালের দোকানের সামনে গাড়ি থামিয়ে চাল বাবদ পাওনা ২৩ শত টাকা দিয়ে তার ভাইকে উপহাস করিতে নিষেধ করে। এসময় লেবু মিয়া নিষেধ না মেনে ঠিকাদার সেলিমের উপর চড়াও হয়ে তার শার্টের কলার ধরে চড়থাপ্পড় মারে ও টানাহেঁচড়ার করে শার্ট ছিড়ে দেয়। এরপর লেবু মিয়া অন্ডকোষে লাথি মারে সেলিমের বুক পকেট ও প্যান্টের পকেট থেকে সিমেন্টের পাওনা পরিশোধের জন্য রাখা প্রায় দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা এসে আসাদুজ্জামান লেবুর হাত হতে সেলিমকে উদ্ধার করে। পরে উপস্থিত সবার সামনে লেবু মিয়া ঐ যুবলীগ সভাপতি ও ঠিকাদার সেলিমকে প্রাণ নাশের নানা রকম হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিম বাদী হয়ে আসাদুজ্জামান লেবুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। এবিষয়ে কথা হলে আসাদুজ্জামান লেবু ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, উল্টো ঠিকাদার সেলিম তাকেই গালিগালাজ ও মারধোর করেছে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিম একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।