বর্তমানে অতি ঝুঁকিপুর্ণ বিবেচিত দেশসমূহ ব্যাতিত বিশেষ শর্তসাপেক্ষে শনিবার (১ মে) থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট সমূহের পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে কভিড-১৯ সংক্রমণের হার বিবেচনায় ৩৮টি দেশে গমনাগমনের ওপর বিশেষ শর্ত আরোপ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে এয়ার বাবল ফ্লাইটসমূহ স্থগিত রাখা হয়েছে এবং অতি ঝুঁকিপুর্ণ দেশসমূহের সঙ্গে সাময়িক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ঝুকিপূর্ণ দেশসমূহ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বেবিচকের প্রজ্ঞাপনে ঝুঁকি বিবেচনায় ৩৮টি দেশকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘গ্রুপ-এ’তে রয়েছে ১২টি দেশ- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, সাউথ আফ্রিকা ও তিউনিসিয়া। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব দেশ থেকে কোনো যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না বা বাংলাদেশ থেকেও এসব দেশে কোনো যাত্রী যেতে পারবেন না। তবে দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা (অনাবাসী বাংলাদেশি) নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের বাংলাদেশে পা রাখার আগেই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনের জন্য নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেল বুকিং করতে হবে।

‘গ্রুপ-বি’র ২৬টি দেশ হলো- অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, এস্তোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, কাতার, লিথুনিয়া, প্যারাগুয়ে, নেদারল্যান্ড, পেরু, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে। এসব দেশ (বাহরাইন, কুয়েত ও কাতার ছাড়া) থেকে আগতদের নিজ খরচে হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে। তবে বাহরাইন, কুয়েত ও কাতারের প্রবাসীদের দেশে ফিরেই থাকতে হবে তিন দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে। তিন দিন পর তাদের করোনা নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাদের ১১ দিনের হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।