লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ইরি ধান ক্ষেতে পানি দেয়ার বাকি টাকা চাওয়ায় খলিলুর রহমান (৫০) নামে এক সেচ পাম্প মালিককে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে সেলিম হোসেন (২৭) গং এর বিরুদ্ধে। আহত খলিলুর রহমান বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এদিকে ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলো আজও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

গত সোমবার (১০ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম (৭ নং ওয়ার্ড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেচ পাম্পের মালিক খলিলুর রহমানের বোনের স্বামী মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনায় মামলার ১৩দিন পার হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ওই ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার সেলিম হোসেন (২৭), মিঠু ইসলাম (৪০), জয়নাল উদ্দিন (৬০), লাকী বেগম (২৩), মনোয়ারা বেগম (৫৮) এবং রত্না খাতুন (২৩)।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মে আসামি সেলিম হোসেন তার ইরি ধান ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য সেচ পাম্প মালিক খলিলুর রহমানকে চাপ দিতে থাকে। সেচ পাম্প থেকে পানি দেয়ার বাকি টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত নতুন করে পানি দিতে অস্বীকৃতি জানান খলিলুর রহমান। এ ঘটনায় আসামিরা তার উপর ক্ষিপ্ত হন। তারা ধান ক্ষেতে পানি না দেওয়ার জের ধরে সেচ পাম্প মালিক খলিলুর রহমানকে কঠিন শিক্ষা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের যোগ সাজস ও শলাপরামর্শ করতে থাকেন।

এমতাবস্থায় ওইদিন বিকালে খলিলুর রহমান পশ্চিম বেজগ্রাম মাদ্রাসা হতে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি আসার সময় উপরোক্ত আসামিরা বে-আইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, খাপর ও ধারালো ছোড়াসহ ভুক্তভোগী সেচ পাম্প মালিক খলিলুর রহমানকে আটক করে এলোপাতাড়িভাবে মারধোর করতে থাকে। তাদের আঘাতে এ সময় খলিলুর রহমান গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা খলিলুর রহমানকে ছেড়ে দিয়ে তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বসতঘরের বিভিন্ন মুল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
পরে স্থানীয়রা খলিলুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এদিকে, আহত খলিলুর রহমান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বুধবার (১৯ মে) নিজ বাড়িতে আসেন। পরে শুক্রবার (২১ মে) আবারও গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এবিষয়ে একটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পাওয়া যাচ্ছেনা।