সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৬৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৮৯৭ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৬৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জন।

সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৪১২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭০৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫২১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৫৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭ হাজার ২০৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৭টি।

এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৮৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, বরিশাল বিভাগে ছয় জন, সিলেট বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ জন এবং বাড়িতে ১১ জন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৮৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।

এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন তিন হাজার ৫৪৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৬৪০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ২৮ হাজার ১৪১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৩৯ হাজার ২৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৯ হাজার ১১৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।