যুদ্ধের ১৩তম দিনেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন চলছে। এদিন ইউক্রেনের লুতস্ক ও দিনিপরো শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। একইসাথে দেশটির ভলনোভাখা শহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা। এমন অবস্থায় বহু মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়েও রয়েছে আপত্তি। কয়েকদিন পর পর বিভিন্ন সংস্থা নিহতের আপডেট জানালেও চূড়ান্ত সংখ্যা কেউ বলতে পারছে না। সর্বশেষ শুক্রবার (১১ মার্চ) ইউক্রেনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকর কমিশন (ওএইচসিএইচআর)।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউক্রেনে ৫৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। যদিও সংস্থাটি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে নির্বিচারে হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছেন, অনেকে পঙ্গু হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি এবং বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। এমন অবস্থায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে ইউক্রেনের দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনের সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।