নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ দেওয়ার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে প্রবেশ করে নওগাঁর এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই তরুণ। আজ সোমবার সকালে পাবনা জেলার সদর উপজেলার দুককুলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৫, নাটোর সিপিসি-২ এর সদস্যরা। দুপুরেই তাদের নওগাঁ সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রাকিব (১৯) ও মো. তারেক (২০)। তাদের মধ্যে রাকিব পাবনা জেলার আতাউকুলা উপজেলার পীরপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ও তারেক একই জেলার গয়েশপুর গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে।

র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন জানান, নওগাঁ সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লায় বসবাসরত ভিকটিম তার স্বামীর প্রায় দেড় মাস ধরে খোঁজ পাচ্ছিলেন না। এই অবস্থায় ভিকটিম তার স্বামীর বন্ধু রাকিবকে জানান। রাকিব স্বামীর খোঁজ পাওয়া গেছে বলে গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তারেককে সঙ্গে নিয়ে পাবনা থেকে নওগাঁর বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার ভিকটিমের ভাড়া বাসায় আসেন। ওই দুই যুবক ভিকটিমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে কথাবার্তার একপর্যায়ে ঘুমের ওষুধ দেওয়া কোমল পানীয় তাকে খাওয়ান। ভিকটিমের ঘুম ঘুম ভাব এলে তাদের মধ্যে রাকিব ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। এরপরে তারেক ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে দুই যুবক দৌড়ে পালান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এ সময় স্থানীয়রা প্রায় অচেতন অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ভিকটিম ওই দুই তরুণকে আসামি করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাব পলাতক দুই আসামিকে আজ সোমবার গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান, আসামিদের দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।