বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, ‘বানচাল করার জন্য সরকার যত কৌশলই করুক, যে কোনো মূল্যে আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করবে জনগণ। তাদের সঙ্গে থাকবেন দলীয় নেতাকর্মীরা।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ইন্ধনে ইতোমধ্যেই ফরিদপুরে ১১ ও ১২ নভেম্বর পরিবহন ধর্মঘট ডাকানো হয়েছে। আমাদের সমাবেশ ঠেকাতে গিয়ে সরকার জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও বিএনপির একের পর এক সফল সমাবেশ দেখে সরকার নার্ভাস হয়ে পড়েছে।’

আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।

সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক মোদাররেস আলী ইছার সভাপতিত্বে এ সময় বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

ফরিদপুরের সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের মাঠটি সমাবেশের জন্য প্রথম পছন্দ হিসেবে চেয়ে এবং আরও তিনটি বিকল্প ভেন্যু উল্লেখ করে প্রশাসনের কাছে সমাবেশের জন্য অনুমুতি চেয়ে আবেদন করা হলেও প্রশাসন ‘এখনও কিছু জানায়নি’ উল্লেখ করে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ সমাবেশের জন্য পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক মাশুকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম পিংকু, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট সহ সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে সমাবেশস্থলে আসতে বাধা প্রদান করা হয়েছে। ফরিদপুরে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন তারা। আগামী ১২ নভেম্বর বিএনপির ফরিদপুরের সমাবেশকে সফল করতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।