দেশজুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ দাবি করেন।

প্রিন্স বলেন, ‘হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাবন্দি করায় বর্তমানে কারাগারে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কারাবিধি অনুয়ায়ী অনেক নেতা ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী হলেও এখনও অনেককে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। কারাবন্দি নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাদের ২৪ ঘণ্টা লক-আপে রাখা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আব্দুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানী, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক মিয়াসহ শীর্ষ নেতারা জামিন পাওয়ার অধিকারী হলেও বারবার তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। তারা জামিন পাওয়া অধিকার রাখেন। তারা গুরুতর অসুস্থ ও বয়োজ্যেষ্ঠ হলেও সরকারের নির্দেশেই তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমি আবারও বিএনপি মহাসচিবসহ আটক সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করছি।’

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘জনগণ কোনো চক্রান্ত করছে না। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে, বাকস্বাধীনতা ফিরে পেতে, ন্যায়বিচার পেতে, ফ্যাসিবাদ থেকে বাঁচতে প্রকাশ্য রাজপথে লড়াই করছে। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নামে তারা লুটের রাজ্য কায়েম করেছে। সুতরাং মিথ্যাচার ও চক্রান্ত করে আর ক্ষমতায় টিকা যাবে না। নিপীড়ন নির্যাতন করে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।’

এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, ‘বিএনপির গণসম্পৃক্ত আন্দোলন কর্মসুচি এবং সরকারের বিরুদ্ধে গণরোষে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আওয়ামী দু:শাসনের অবসান এবং আওয়ামী লীগ কর্তৃক ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থা পূর্নগঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো রুপরেখা ঘোষণার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে অন্যরা পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। ১০ দফা ও রাষ্ট্র মেরামতের রুপরেখা দেশে বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় আমাদের উত্থাপিত দাবি ও রুপ রেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো বক্তব্য না দিয়ে চিরাচরিত ভাষায় বিএনপির বিরুদ্ধে তারা বিষোদগার শুরু করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাইফুল ইসলাম টিপু ও আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।