কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ায় পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অপহৃত ৭ জনকে উদ্ধার করেছে বলে দাবি পুলিশের। আজ শুক্রবার উপজেলার বাহারছড়া জাহজপুরা দক্ষিণ পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

তবে অপহৃত পরিবারের দাবি, সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাদের ছাড়ানো হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা জাবরুল ইসলাম, ফজল করিম, গিয়াস উদ্দিন, রশিদ আলম, আরিফ উল্লাহ, জাফর আলম।

এ বিষয়ে উদ্ধার হওয়া জাফর আলমের ছেলে কলিম উল্লাহ বলেন, ‘আমার বাবা উদ্ধার হয়েছেন। এ জন্য চৌকিদার ইসহাকের মাধ্যমে মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। উদ্ধারের পর বাবাকে পুলিশ নিয়ে যায়।’

উদ্ধার হওয়া আরেক ব্যক্তি ফজল করিমের স্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বামী উদ্ধার হয়েছেন। স্বামীকে ছাড়াতে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।’

তবে বিশেষ অভিযানে অপহৃতরা উদ্ধার হয়েছেন উল্লেখ করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, ‘জেলা গোয়েন্দাসহ থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে কলেজছাত্রসহ অপহৃত ৭ ব্যক্তি উদ্ধার হয়েছেন। তাদের থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি জানা নেই।’

এ বিষয়ে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘পুলিশের চেষ্টায় সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে এটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।’

এদিকে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড়ে ৪৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৩৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ ২ শিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় খেত পাহারার সময় ৪ কৃষক অপহরণের শিকার হন। তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরেন। এছাড়া ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় একটি খালে মাছ ধরার সময় অপহরণের শিকার হন ৮ ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন।