বাগেরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নূর ইসলাম হাওলাদার (৩৭) নামে এক অন্ধ প্রতিবন্দী ও তার স্ত্রী কাকলি বেগমকে (২৭) কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বারুইখালী গ্রামে। দুই চোখ অন্ধ নূর ইসলাম হাওলাদার কচুয়া উপজেলার বারুইখালী গ্রামের মৃত আমির হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তারা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
অভিযোগে নূর ইসলাম হাওলাদার জানান, গত ৩১ মার্চ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আমার বাড়িতে তাল গাছ কাটতে আছে চাচাতো ভাই জাকির হাওলাদার (৪৭)। এ সময় আমরা তার কাছে গাছ কাটার কারন জানতে চাইলে জাকির হাওলাদার আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সে আমাকে গালিগালাজ করে ও মারধর শুরু করে। পরে জাকির হাওলাদারসহ তার ছেলে সজিব হাওলাদার (২২) ও পাশ্ববর্তী নাহিদ সরদার (৩০) উপস্থিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিত মোতাবেক তাদের কাছে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী বাধা দিতে আসলে হামলাকারীরা আমার স্ত্রীকেও মারধর করে ও দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। হামলাকারীদের মারধরের কারনে আমার বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল ভেঙে যায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয় এবং আমার স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে প্রথমে কচুয়া হাসপাতালে প্রেরন করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় হামলার স্বীকার কাকলি বেগম বলেন, আমরা অনেক গরীব, আমার স্বামীর দুইটা চোখই অন্ধ অনেক কষ্ট করে দিন চালাতে হয়। জাকির হাওলাদার আমাদের সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা চালিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ঘটনায় কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবু