বিএডিসি সহ বিভিন্ন গবেষণা ফার্মে কর্মরত অনিয়মিত সকল শ্রমিকদের নিয়মিত করণ ও দৈনিক মজুরী বৃদ্ধি সহ কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের ১৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে বাস্তাবায়নের দাবীতে মানববন্ধন, অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহ¯্রাধিক শ্রমিক। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন আন্দোলনরতরা।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা শ্রমিক সমিতির সভাপতি লেহাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান, ব্রি শ্রমিক সমিতির সভাপতি মামুন হোসেন আপেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন,বারি শ্রমিক ক্লাবের সভাপতি হাইজুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন সহ ব্রি, বারি শ্রমিক সমিতি ও ক্লাবের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। একই দাবীতে দেশের অন্যান্য জেলায় অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, ১৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের দাবীতে গত ২১ জুলাই হতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএডিসি, ব্রি, বারি, পাট গবেষণা, বিনা, বাংলাদেশ সুগারকপ গবেষনা, গম, ভুট্্রা ও তুলা উন্নায়ন বোর্ড সহ দেশের সকল কৃষি ফার্মের শ্রমিকরা। ১০দিন ব্যাপী এ কর্মসূচি আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত পালিত হবে। কৃষি শ্রমিকদের দাবী মেনে নেয়া না হলে পরবর্তীতে আন্দোলনের আরো বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাংগা এলাকাস্থিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি পূনঃরায় ক্ষমতায় আসলে কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের সকল দাবী পূরণ করবেন এবং তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে পুনঃরায় ক্ষমতায় আসলেও গত প্রায় ৫ বছরেও প্রধানমন্ত্রীর ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি কৃষি মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা হয় নি। তাই শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবীগুলো বিবেচনা করে পূরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।