23দৈনিক বার্তা : গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে অপহরনের তিনদিন পর গার্মেন্টস কর্মী মোবারক হোসেন (৩২) কে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেবীস্ট্যান্ড থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় মুক্তিপর্নের টাকাসহ পাঁচ অপহরনকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড় টায় টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফীজুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। অপহৃত মোবারক হোসেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার দোপাখালী ইউনিয়নের সমতকুর গ্রামের মৃত মোন্তাজ আলীর ছেলে। অপহৃত গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এস কে টেক্স গার্মেন্টসে কোয়ালিটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌর এলাকার ধুলেরচরের আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুর রহিম (২৭), একই এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে আব্দুল লতিফ (৪৪) ও তার ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন (২৬), চরপৌলী গোলচত্বর গ্রামের মৃত আসমান আলীর ছেলে ফজলুল হক (২৪) ও কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের মৃত লাল মোহন সূত্রধরের ছেলে দিলীপ সূত্রধর (২৪)।

টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, অপহরনকারীরা মোবারকের স্ত্রীকে মোবাইলে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। টাকা না দিলে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় মোবাইল টেকিংএর মাধ্যমে শহরের বেবী ষ্ট্যান্ড এলাকায় মুক্তিপর্ণের টাকা লেন-দেনের সময় পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও অপহৃত মোবারককে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১।

ধনবাড়ী উপজেলার দোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আব্বাস আলী জানান, ২৯ এপ্রিল রাতে মোবারকের স্ত্রী মোছাঃ লাভলী বেগম আমার কাছে এসে কেঁদে ফেলে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে গত ৩০ এপ্রিল তাকে দিয়ে ধনবাড়ী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়। এর পর সাধারন ডায়েরীর কপি ও একটি ব্যাগে কাগজ ভর্তি নকল টাকা বানিয়ে নিয়ে টাঙ্গাইল ডিবি অফিসে এসে বিস্তারিত জানাই। ডিবি অফিসে বসেই অপরণকারীদের ফোন দেই। তারা রাত সাড়ে ১০টায় টাকা নিয়ে বেবীস্ট্যান্ডে আসতে বলে। কোন প্রকার চালাকী করলে মোবারককে খুন করে লাশ গুম করার হুমকী দেয় অপরণহারীরা। পরে তাদের কথা মতো কাগজ ভর্তি টাকার ব্যাগ নিয়ে আমি ও মোবারকের স্ত্রী বেবীস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনিতে যাই। এসময় আব্দুল লতিফ নামের এক অপরণকারী টাকা নিতে আসে। এসময় এর চারপাশে থাকা ডিবি পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পর পর অপর চার অপরণকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা অপহৃত মোবারককে উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে অপহৃত মোবারক জানান, গত ২৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টায় গ্রার্মেন্টস ছুটির পর কোনাবাড়িার ভাড়াকৃত বাসায় ফিরছিলেন। কিছু দূর যাবার পর একটি মাইক্রোবাস এসে আমার সামনে থামে। এসময় মাইক্রোবাস থেকে ৩জন যুবক নেমে আমাকে ধাক্কা মেরে জোরপূর্বক তুলে নেয়। তাৎক্ষণিক আমার হাত, পা, মূখ ও চোঁখ বেঁধে নিয়ে আসে। পরে আমার কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে আমার মোবাইল দিয়ে আমার স্ত্রীকে ফোন দেয়। তবে তাদের কাউকে তিনি কখনো দেখেননি এবং কোন পূর্ব শত্র“তা নেই বলেও জানান।