দৈনিক বার্তা : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা হত্যা-গুমের রাজনীতি শুরু করেছেন এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।এ সময় তিনি ষড়যন্ত্রের বীজ ভেঙ্গে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমির উদ্যোগে চলমান রাজনীতি বিষয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাস। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগ আসার কারণেই র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।তাহলে যারা প্রকাশ্যে চোরাগুপ্ত হামলার কথা বলেছে তাদেরও গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু হলেই বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের ধরনা ধরে। তাদের কিছু বিদেশি বন্ধুদের পরামর্শেই তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এ কারণে আজ তারা হতাশায় আছে।হাছান মাহমুদ বলেন, হত্যা-গুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দল ও সরকার আন্তরিক।
তিনি বলেন,সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা হত্যা-গুমের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবো। যারা হত্যাগুমের রাজনীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেব।
বিরোধী জোট এখন আবার নতুন খেলায় মেতে উঠেছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, যে দেশে মানুষের ঘনত্ব সর্বোচ্চ ও জমির পরিমাণ সর্বনিম্ন সে খাদ্য ঘাটতির দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতি কমাতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত ডিজিটাল বাংলাদেশ। মোবাইলে গহীন দ্বীপেও টাকা পৌছে যায়। ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী। এই উন্নয়নমূখী দেশের বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্ত করে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতা আর নৈরাজ্যে নেমেছিল। এখন আবার নতুন খেলায় মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, যারা দিনেদুপুরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ মারে। এটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যারা প্রকাশ্যে চোরাগুপ্তা হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে তার উত্তম আশ্রয় কামনা করেন।