Press-29-09-2014 (6)

দৈনিকবার্তা-ডিএমপি মিডিয়া সেল : বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সামিয়ুন রহমান ওরফে ইবনে হামদানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ৷ গত ২৮/০৯/২০১৪ খ্রি. রাত আনুমান ২৩.১৫ টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ সে সিরিয়া ফ্রন্টে সশস্ত্র জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনার লৰ্যে আইএস ও নুসরা বিগ্রেডের জন্য মোজাহিদ সংগ্রহ করতে বাংলাদেশে এসেছে৷ সম্প্রতি আল কায়দার নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি কর্তৃক ঘোষিত AQIS এর বাংলাদেশ ও মায়ানমার এ জঙ্গি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করাই তার উদ্দেশ্য ছিল৷

গত ২৪/০৯/২০১৪ খ্রি. গোয়েন্দা বিভাগ মোঃ আসিফ আদনান ওরফে জুলকারনাইন ও মোঃ ফজলে এলাহি তানজিলদ্বয়কে গ্রেফতার করে৷ তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা AQIS কার্যক্রম সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর ও গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে৷ জিজ্ঞাসাবাদে তারা ব্রিটিশ নাগরিক সামিয়ুন রহমান ওরফে ইবনে হামদান সম্পর্কেও বিসত্মারিত তথ্য দেয়৷ তাদের তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮/০৯/২০১৪ খ্রি. আনুমান ২৩.১৫ টায় গোয়েন্দা বিভাগ কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে৷ তার দখল থেকে ৬টি মোবাইল, ১টি ব্রিটিশ পাসপোর্ট ও এটিএম কার্ড, ব্যাংক চেক ও অন্যন্য সরাঞ্জমদি উদ্ধার করা হয়েছে৷

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সামিয়ুন আইএস ও নুসরা বিগ্রেডের জন্য মোজাহিদ সংগ্রহ করতে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল বলে জানায়৷ সে আরও জানায় যে, গত সেপ্টেম্বর/২০১৩ থেকে ডিসেম্বর/২০১৩ পর্যনত্ম সিরিয়ায় নুসরা ব্রিগেডের সদস্য হয়ে জিহাদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে৷ এই কার্যক্রমে অংশ নিতে সে তার এক বন্ধুসহ বৃটেন থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় যায়৷ জিহাদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সৰম যুবক সংগ্রহের জন্য সে ইতোপূর্বে মোরতানিয়া ও মরক্কো ভ্রমণ করেছে৷ Peace TV এর উপস্থাপক এনথনি এর Facebook Fan page এর সূত্র ধরে বাংলাদেশ থেকে সিরিয়ায় জিহাদে অংশ গ্রহণে ইচ্ছুক বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ আসিফ আদনান ওরফে জুলকারনাইন এর সাথে তার পরিচয় হয়৷ অতঃপর বাংলাদেশ থেকে সিরিয়ায় মোজাহিদ প্রেরণের লৰ্যে গত ফেব্রম্নয়ারি মাসের শেষ দিকে সে পুনরায় বাংলাদেশে আসে৷ ডিবি কর্তৃক ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত আসিফ আদনান, ফজলে এলাহি তানজিল, সেকান্দর আলী নকি ও তাসনিম ওরফে নাহিদের মাধ্যমে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে সিরিয়ায় একটি জিহাদী টিম পাঠানোর পরিকল্পনা করে৷ এ বিষয়ে তার উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়ায় জিহাদী কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশ ও মায়ানমারে AQIS (AL QAIDAH IN INDIAN SUB-CONTINENT) এর আনত্মজর্াতিক নেটওয়ার্ক স্থাপন৷ এ সংক্রানত্মে তাদের যোগাযোগ সম্পর্কিত বেশ কিছু ৰুদে বার্তা মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে৷

গ্রেফতারকৃত সামিয়ুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যে, মোঃ আসিফ আদনান ওরফে জুলকারনাইন, জাবের, আবু নায়না, আঃ করিম ও আব্দুলস্নাহ তার সহযোগী ছিল৷ গ্রেফতারকৃত সামিয়ুন রহমান ইব্নে হামদান যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন৷ বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করাও তাদের উদ্দেশ্য ছিল৷ আসামী ইব্নে হামদান-এর নেতৃত্বেই সশস্ত্র জিহাদের জন্য তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন বলে অন্যরা স্বীকার করেন৷ আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে একে অপরের সহায়তায় নিষিদ্ধ সংগঠন আল-কায়দার নেতা জাওয়াহিরির অতি সমপ্রতি প্রদত্ত বক্তব্যে প্ররোচিত হ’য়ে বাংলাদেশে আল-কায়দার জঙ্গী নেটওয়ার্ক তৈরী করে নানা রকম নাশকতা মূলক জঙ্গী কর্মকান্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছিল৷

ডিসি(পশ্চিম) জনাব শেখ নাজমুল আলম পিপিএম (বার) এর নিদের্শনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এর তত্বাবধানে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম নাজমুল হক ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মহরম আলীর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয় ৷