news_img_42665

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০নভেম্বর: মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি-এর অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত৷সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের বেঞ্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন৷রুলের শুনানিতে আদালত বিলম্ব ফি ছাড়া অন্য যেকোনো ধরনের বাড়তি ফি নেওয়া থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে৷ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সব শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান ও শিক্ষা সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে৷

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় আট গুন বাড়তি ফি আদায় শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া৷আগামী ১০ ডিসেম্বর পত্রিকার প্রতিবেদককে তার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি বাড়তি ফি আদায় বন্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বোর্ড চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে৷এ ছাড়া আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে৷সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরা ফায়দাবাদের দ্য চাইল্ড ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্রী মাহফুজার কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণ বাবদ চেয়েছে ১১ হাজার টাকা৷ কিন্তু তাদের অসচ্ছল পরিবারের পক্ষে এই অর্থসংস্থান সম্ভব নয়৷ তাই নালিশ জানাতে এসেছে বোডের্র চেয়ারম্যানের কাছে৷

ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ এক হাজার ৪০০ টাকা৷ কিন্তু এর বাইরেও বড় অংকের ফি আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ৷ অনেকে অভিযোগ করেছেন, চাহিদা মতো অর্থ না দিতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন৷ তারা এর প্রতিকার চান৷রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরম পূরণের টাকার সঙ্গে তিন মাসের বেতন, সেশন, কোচিং, মডেল টেস্ট ফি ইত্যাদি মিলিয়ে মণিপুর হাই স্কুলে সাড়ে নয় হাজার টাকা, মিরপুর জান্নাত একাডেমি হাইস্কুলে সাত হাজার ৭০০, আলিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে আট হাজার ৯০০, ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাড়ে চার হাজার টাকা, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচ হাজার, খিলগাঁও ন্যাশনাল আইডিয়াল হাইস্কুলে পাঁচ হাজার ৯০০, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচ হাজার, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চার হাজার ৭৯০, রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ছয় হাজার ৬৫২, রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে ছয় হাজার ৫০০, মগবাজার নজরুল শিক্ষালয়ে আট হাজার, বাসাবোর কদমতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে নয় হাজার, সদরঘাটের পোগোজ স্কুলে ছয় হাজার, হাটখোলার মিতালী বিদ্যাপীঠ স্কুলে সাড়ে ছয় হাজার, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আট হাজার, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছয় হাজার ৭০০, রামপুরা একরামুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে ছয় হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে৷ এর বাইরে এসব স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণ বাবদ বিভাগ ভেদে এক হাজার ৫৮০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৭০ টাকা বাড়তি দিচ্ছে৷