road accident (2)_1_41500

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ এপ্রিল: সাভারের ধামরাই, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিলেটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।জানা গেছে, শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাভার উপজেলার বারোবাড়িয়া এলাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা টওাইভেটকারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ ৮জন নিহত হন।ধামরাইয়ে দুটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আটজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জনশনিবার দুপুর তিনটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাথুলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১০ জন। তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদরসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- ফরিদা বেগম (২৬), তার স্বামী মনোয়ার েেহাসেন (৩২), তিন ছেলে মেয়ে তাওহিদ (২), তোহা (৪) ও দিলারা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে অংকিতা (৪), একই পরিবারের সাম্মী আক্তার (৪) ও গাড়িচালক ফারুক (২৯)।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুপুরে সোহাগ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ ১১-০২৪২) একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে আরিচার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ধামরাইয়ের বাথুলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে সোহাগ পরিবহনের পেছনে থাকা সাভার থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়। এছাড়াও হাসপাতালে নেয়ার পর আরো চারজনের মৃত্যু হয়।মানিকগঞ্জের গোলরা থানার ভারটওাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের বানিয়াগাঁতিতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী হতাহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। নিহত চায়না বেগমের (৪০) বাড়ি কুড়িগ্রামের পাথরখাদা গ্রামে, অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম এমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নীলফামারী জেলার জলঢাকা থেকে অনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকার যাচ্ছিল। শনিবার ভোর রাতে বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কে পৌঁছেলে একই দিক থেকে আসা একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে বাসটিকে ওভারটেক করার সময় উভয় যানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি পরিবহনই নিয়ন্ত্রই হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত এবং অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো ৩ জন।

গুরুতর আহত দুই জনের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলেও দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী স্ত্রী সহ ৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হল মোঃ মমতাজ উদ্দীন (৪৫), স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩৫) ও ওমর ফারুক(২০)।প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় ধুনট উপজেলার হটিয়ার পাড়া গ্রামের মোঃ মমতাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী শেফালী খাতুন শ্যালক ওবায়দুরের মটর সাইকেল যোগে বগুড়ায় আসছিল। পথিমধ্যে সোনাহাটা তিনমাথায় ইট বোঝায় ট্রাকের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষে স্বামী স্ত্রী দু’জন ঘটনাস্থলে মারা যায়। শ্যালক ওবায়দুর কে আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধুনট থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। অন্যদিকে বগুড়া সদর থানার ওসি আবুল বাশার জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় বগুড়া শহরের কৈগাড়ী পূর্ব পাড়ার মোঃ লিটনের পুত্র এইচএসসি পরীক্ষার্থী ওমর ফারুক (২০) স্কুলে তার বোনকে রেখে মটর সাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিল। শহরের খান্দার এলাকায় একটি যাত্রী বাহী কোচকে ওভারটেক করার সময় রিক্সার ধাক্কায় পড়ে গেলে বাসটি তার শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

রাজধানী: খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।খিলক্ষেতে সকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি গাড়িচাপায় নিহত হন। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫। লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় খিলক্ষেত থানার পুলিশ। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইলের ভাষ্য, সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়িচাপায় ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে নিহত হন।তেজগাঁও এলাকায় অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় আলতাফ হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা-কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট। সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।