DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 8466

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ এপ্রিল: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শনিবার রাত ১২টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।এ ছাড়া ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ২৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অন্য সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্যকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিটি নির্বাচনে ৭০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য থাকবে। প্রত্যেক বড় কেন্দ্রে ১২ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবেন। বড় কেন্দ্রে ১২টি ও ছোট কেন্দ্রে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বপালন করবে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, নির্বাচনে মোট কেন্দ্র এক হাজার ৯৮২ টি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৪২৯ টি।

২৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন, প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। যদি কারও কাছে এসব অস্ত্র পাওয়া যায় তাহলে অস্ত্র আইনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ২৬ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের জনসভা, অনুষ্ঠান, মিছিল, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হযেছে। ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে কোনো প্রার্থী কোনো ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে।নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে। এ ছাড়া চারটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে।নির্বাচনের আগের দিন দক্ষিণে আটটি ও উত্তরে আটটি মোট ১৬টি স্থান থেকে ব্যালটসামগ্রী বিতরণ করা হবে। সে জন্য এসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে ভ্রাম্যমাণ দল টহল দেবে। তিনটি ভোটকেন্দ্রের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং রিজার্ভ থাকবে।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সেবামূলক কাজে নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোট দেয়ার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনী উত্তাপ যতোদিন থাকবে ততোদিন নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারকাজও পরিচালনা করা হবে।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোট দেয়ার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে মোবাইল টিম টহল দেবে। এছাড়াও প্রতি তিনটি ভোট কেন্দ্রের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

তিনি জানান, ঢাকা মহানগরের ১ হাজার ৪২৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে এবং ৫৫৩টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। নির্বাচন মনিটরিং করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রধান কন্ট্রোল রুম এবং চারটি সাব-কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। সেখান থেকে পুরো নির্বাচনকে মনিটরিং করা হবে। পুলিশের সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম নির্বাচনের সময় প্রধান কন্ট্রোল রুম হিসেবে কাজ করবে।২৬ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের জনসভা, অনুষ্ঠান, মিছিল সংগঠিত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে কোনো প্রার্থী ক্যাম্প তৈরি করতে পারবে না।পর্যবেক্ষক সংস্থা অনধিক পাঁচজন করে একাধিক ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষণ দল নিয়োগ করতে পারবেন। তারা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্বল্প সময়ের জন্য অবস্থান এবং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে নির্বাচন কমিশন থেকে পাস সংগ্রহ করতে হবে। সাংবাদিকদের বেলায় একই নিয়ম।

ডিএমপি কমিশনার জানান, নির্বাচনের আগের দিন দক্ষিণে ৮টি উত্তরে ৮টি মোট ১৬টি স্থান থেকে ব্যালট সামগ্রী বিতরণ করা হবে। সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা থাকবে। বিভিন্ন স্থানের ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হবে।তিনি আরো জানান, যারা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে কিংবা ভয়ভীতি, বাধা প্রদর্শন করতে চেষ্টা করবে তাদেরকে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। নির্বাচনী উত্তাপ যতোদিন থাকবে ততোদিন এই আইনশৃঙ্খলা জোরদার থাকবে। নির্বাচনের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে। এছাড়া নির্বাচনের সময় ৭০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করা হবে। প্রতিটি প্লাটুনে ৩০ জন করে সদস্য থাকবে।