1418664168

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ এপ্রিল: আগামী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে সব ধরনের শুল্ককর কমানো এবং নগদ সুবিধার পরিমান ও মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম।বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ে তিনি এ প্রস্তাব তুলে ধরেন। এছাড়া, বিকেএমইসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরাও পোশাক খাতের সুবিধা সংশ্লিষ্ট নানান প্রস্তাব তুলে ধরেন। এ সময় প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এনবিআরের জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি আসলাম সানি, ইএবির সভাপতি সালাম মুর্শেদী এবং বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী।

এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে লিখিত প্রস্তাবনায় গামেন্টস শিল্প স্থাপনে নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে শুল্ক, ভ্যাটসহ সব কর অব্যাহতি, ১০% হারে হ্রাসকৃত করারোপের মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়ানো এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির ওপর আরোপিত ১০০% মুসকমুক্ত রাখাসহ বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়।এছাড়া আগামী পাঁচবছরের জন্য রফতানির বিপরীতে উৎসে করহার দশমিক ৩০ শতাংশ বহাল রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে।সভায় বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক একটি ওয়েবসাইট করা হয়েছে। এফএফসি (ফেয়ার ফ্যাক্টরি ক্লিয়ারিং হাউস) নামের এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২২০টি ব্রান্ডের ক্রেতারা বিদেশে বসেই বিজিএমইএ ভূক্ত ১৭০০ ফ্যাক্টরির আপডেট দেখতে পারেন। ভবনের ফাটল ও সামান্য ত্রুটিও এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখা যাবে। ফলে কমপ্লায়েন্ট ফ্যাক্টরি ছাড়া আর কেউ ব্যবসা করতে পারবে না।এ অবস্থায় ফ্যাক্টরিগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং ইটিপি স্থাপনসহ বেশকিছু সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

আগামী বছরকে তৈরি পোশাক রফতানির জন্য চ্যালেঞ্জের বছর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে কোরামিন ইনজেকশন দরকার।আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের পর শেয়ারড বিল্ডিংয়ে কোনো বায়ার অর্ডার দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ৪০ শতাংশ ফ্যাক্টরি এখনও শেয়ারড বিল্ডিংয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এসব কারখানায় ১৪ লাখ শ্রমিক কাজ করছে।বাজেট প্রস্তাবনায় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় ৫৩১ একর জমির ওপর গার্মেন্টস ইকোনমিক জোন করা হচ্ছে। এ জোনে কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে নির্মাণসামগ্রী আমদানিতে শুল্ক, ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুবিধা প্রয়োজন।

বিকেএমইএ’র পক্ষে বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি আসলাম সানি রফতানির ওপর উৎসে কর আরোপ না করে কাটিং এবং মেকিংয়ের ওপর করারোপের প্রস্তাব করেন। এছাড়া নগদ সহায়তা আয়করমুক্ত রাখা, খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কমুক্ত আমদানি, পরিবেশ সুরক্ষা সারচার্জ বাতিল ও ফার্নেস অয়েল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, এখন তৈরি পোশাক খাতের যে রফতানি আয় দেখানো হচ্ছে এর পেছনে এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতের অবদান রয়েছে। পশ্চাৎমুখী শিল্প হিসেবে এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাত এগিয়ে গেলেও নীতি সহায়তার অভাবে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নিজেদের সদস্যদের অনুকূলে ইউপি জারি করতে পারলেও বিজিএপিএমইএ পারছে না।আলোচনায় সভায় আগামী বাজেটের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরে সংগঠনগুলো।