Padma-Bridge

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ জুন: পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যেদিন থেকে গাড়ি চলবে সেদিন থেকেই পদ্মা রেল লিংক দিয়ে রেল চলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।শনিবার সকালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প ফেইজ-১ এর আওতায় ঢাকা – মাওয়া – ভাঙ্গা এর শুরুর স্থান গেন্ডারিয়া রেল স্টেশন প্রকল্প পরিদর্শন ও প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চায়না রেলওয়ে গ্র“প লিমিটেডের সাথে বাংলাদেশ সরকার সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর করেছে।

৮২.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রথম ফেইজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের পর ভাঙ্গা – নড়াইল- যশোর রেল লিংকে দ্বিতীয় ফেইজ এর কাজ শুরু হবে।সাড়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে সরকারের ঘোষণা রয়েছে।রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর প্রথম দিনই ভাঙা (ফরিদপুরের) থেকে সেতুর উপর দিয়ে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন শেষ করা হবে।

গেন্ডারিয়া স্টেশন থেকে কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুকে যুক্ত করতে ৪৬ কিলোমিটার রেল লাইন হবে। সেতুর অন্য প্রান্ত থেকে জাজিয়া, শিবচর হয়ে ভাঙা পর্যন্ত ৩১ কিলো মিটার রেলপথ বসানো হবে।মন্ত্রী বলেন, এলাইনমেন্ট ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে। মোট ৮২.৩২ কিলো মিটার রেললাইন ও ২৭ কিলো মিটার লুপ লাইন ছাড়াও এ সেকশনে ১২৫টি রেলসেতু নির্মাণ করতে হবে।প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া, জাজিরা, শিবচর এবং ভাঙাতে সাতটি নতুন স্টেশন হবে বলেও জানান তিনি।এছাড়া গেন্ডারিয়া স্টেশন ভবন ও স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং করা হবে এবং ঢাকা স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং করা হবে।

মুজিবুল বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের পপ্রকল্পে ভাঙা জংশন, নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল, জামদিয়া এবং পদ্মাবিলাতে আরও ৮টি স্টেশন স্থাপন করা হবে।মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে নৌচলাচলের জন্য পর্যাপ্ত ক্লিয়ারেন্সের জন্য গেন্ডারিয়ার পর ১৬.৭৭ কিলো মিটার দীর্ঘ এলিভেটেডরেলপথ এবং ২.০২ কিলো মিটার র‌্যাম্প নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও পদ্মার দুপার মিলিয়ে মোট ২৩.৩৬৮ কিমি ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে। রেলপথ ও সড়ক পথকে আলাদা করতে ৪০টি আন্ডারপাস সেতু ও তিনটি ওভারপাস নির্মাণের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে বলে রেলমন্ত্রী জানান। ঢাকা- গেন্ডারিয়া অংশে পাঁচটি লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট বসানো হবে।প্রকল্পটির দুই পর্যায়ের মোট ব্যয় ধরা ২৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ দেওয়া হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্র“পকে।