Doinikbarta-Pinu+Khan-Son+Rony
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ জুন : ছেলে বখতিয়ার রনিকে জোড়া খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের কাছে ছুটেছিলেন পিনু খান এমপি। প্রথমদিকে একাধিক নেতা তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও সেই নেতারা এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ছেলে রনিকে গেফতারের পর থেকেই পিনু খান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে বলেছিলেন, মিথ্যা অভিযোগেই তার ছেলেকে জোড়া খুনের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। ঘটনার সময় রনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ছিল বলেও দাবি করে আসছিলেন পিনু খান। তবে সেদিন গাড়িতে থাকা রনির তিন বন্ধুর আদালতে স্বীকারোক্তি এবং গাড়ি চালকের স্বীকারোক্তির পর পর্দার আড়ালে চলে গেছেন পিনু খান। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও এখন পিনু খানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে মহিলা লীগের আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় পিনু খানকে তার পদ থেকে অব্যহতি বা বহিষ্কার করা হতে পারে বলে অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানান একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা। রনির জোড়া খুনের ঘটনা এবং স্বয়ং পিনু খানকে নিয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে নানাবিধ বিতর্ক থাকায় সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্যকে মহিলা লীগেরে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হতে পারে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন থেকে দেশে ফিরে পিনু খানের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মহিলা লীগের সভানেত্রী সাবেক এমপি আশরাফুন্নেছা মোশারফ জানিয়েছেন, অচিরেই সংগঠনের কাযনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডাকা হবে। সভায় সদস্যদের সম্মতিতে পিনু খানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।গত ১৩ মে রাজধানীর ইস্কাটনে সংসদ সদস্য পিনু খানের প্রাডো গাড়ি থেকে ছেলে রনি এলোপাতাড়ি গুলি চালালে দুই জন নিরীহ ব্যক্তি নিহত হয়। ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে দৈনিক জনকণ্ঠ ভবনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে পিনু খানের গাড়িটি সনাক্ত করে পুলিশ। এরপর পিনু খানের গাড়ি চালক ইমরান ফকিরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান স্বীকার করে যে, পিনু খানের ছেলে রনি নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র থেকে গুলি ছুড়লে দুই জন আহত হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তারা মারা যান। চালকের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ পিনু খানের ছেলে রনিকে গ্রেফতার করে।