doinikbarta-muhid

দৈনিকবার্তা- সিলেট, ১০ জুলাই ২০১৫: মন্ত্রিপরিষদে আরো পরিবর্তন আসছে কিনা- তা বলা মুশকিল বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷ ঈদের পর ছয়-সাতজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তন হবে এমন গুঞ্জনের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, আই হ্যাভ নো আইডিয়া৷আশরাফ সাহেবের যে পোর্টফোলিও (মন্ত্রণালয়) পরিবর্তন হবে, সেটা অবশ্য আমরা কয়েকজন জানতাম৷ একটু রিকনস্ট্রাক্ট (পুনর্গঠন) হবে৷ কিন্তু কীভাবে হবে, বলা মুশকিল৷বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দপ্তর হারানোর পর মন্ত্রিসভায় আরও পরিবর্তন আসছে বলে ইংগিত মিলেছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কথায়৷

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেটের কাজীরবাজার ব্রিজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন৷সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই বর্ষিয়ান নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন হাত দিয়েছেন, দেখা যাক কি হয়৷ আই হ্যাভ নো আইডিয়া৷ৃএকটু রিকাস্টিং হবে৷ কিন্তু কীভাবে হবে তা বলা মুশকিল৷মুহিত বলছেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি এবং কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা আগে থেকেই জানতেন৷দুদিন ধরে চলা গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়৷ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দেওয়া হয় স্থানীয় সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব৷শুক্রবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিত বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পরিবর্তন- এটা প্রাইম মিনিস্টারের এখতিয়ার৷ প্রাইম মিনিস্টার করেছেন, দ্যাটস ইট৷

অর্থমন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফ যখন সাধারণ সম্পাদক হন তখনই একটি প্রস্তাব ছিল তাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার৷ প্রধানমন্ত্রী সেই সিদ্ধান্তই হয়তো এতোদিন পর বাস্তবায়ন করেছেন৷ ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কারাবন্দি হলে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ভার পান বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুলের ছেলে সৈয়দ আশরাফ৷ পরে ২০০৯ সালে দলের সম্মেলনে তিনি ওই পদে নির্বাচিত হন৷২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আশরাফ৷ ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ আবারও সরকারে এলে দলের সাধারণ সম্পাদককে একই দপ্তরে রাখেন শেখ হাসিনা৷গত মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভায় তিন দফা বড় রদবদল আনলেও এবার দলে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত আশরাফের বাদ পড়ার মধ্য দিয়েই কার্যত প্রথম পরিবর্তন এল৷

এর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বাদ পড়েন৷ তবে তার মন্ত্রণালয় কাউকে দেওয়া হয়নি৷

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মতো একটি মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন মন্ত্রীবিহীন থাকতে পারে না৷ তাই মন্ত্রিপরিষদের পরিবর্তন এই মন্ত্রণালয়কে গতিশীল করবে৷আবুল মাল আবদুল মুহিত মন্ত্রিপরিষদের এই পরিবর্তনকে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার বলে উল্লেখ করেন৷আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দু’পাশের রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর কাজীরবাজার সেতুর উদ্বোধন করা হবে৷এর আগে নগরীর চৌহাট্টাস্থ ভোলানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী৷