Bogra Pic-23 (2)

দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৩ আগস্ট ২০১৫: বগুড়ার শেরপুরে দিনের আলোয় লবন বোঝাই ট্রাক অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করার সময় ওই ট্রাকের চাপায় আন্তজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গুরত্বর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার সকাল সোয়া ৮টায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মন্টুর বাড়ীর সামনে এই ট্রাক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বগুড়া গামী লবন বোঝাই ট্রাক ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৭৯১৪ শেরপুরের ছোনকা-মির্জাপুরে আসলে ১টি নন্বর বিহিন লাল রংয়ের পালসার মোটর সাইকেল আরোহী ৩জন আন্তজেলা ডাকাত সদস্য প্রথমে পুলিশের পরিচয় দিয়ে ট্রাকের পিছন থেকে সামনে এসে অস্ত্র উচিয়ে ট্রাকটি থামাতে বলে। এ সময় ট্রাকের চালক ওই ডাকাত দলের ৩সদস্যকে মোটর সাইকেল সহ চাঁপা দিয়ে ট্রাকটি রাস্তার পাশে রেখে চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। মারাত্মক এই দূর্ঘটনার ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন প্রথমে মোটর সাইকেল আরোহীদের উদ্ধার করতে গিয়ে তাদের কাছে থাকা ৮রাউন্ড গুলি ভর্তি ১টি জাপানী পিস্তল, ৪রাউন্ড গুলি ভর্তি ১টি রিভলভার দেখতে পায়। এসময় তারা শেরপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৩সদস্য সহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর এবং পড়ে বগুড়ায় শজিমেক কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

আহতদের মাঝে এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপর ২জন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা হলো-কিশোরগঞ্জ জেলার কাঁটাবাড়ির আতাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত.আবুল কাশেমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) এবং পাবনা জেলার সাথীয়া উপজেলার জসবন্তো দোলিয়া গ্রামের মৃত.রেজা মোল্লাহ্ এর পুত্র সুমন মিয়া (৩৮)। শেরপুর থানার ওসি মো.আলী আহম্মেদ হাসমী এবং দারোগা আলহাজ্জ উদ্দিন জানায়, আন্তজেলা ডাকাত দলের ৩সদস্য এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। তারা সকলেই কমবেশি আহত। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ আরও জানায়, লবন বোঝাই ট্রাকটি উদ্ধার করে শেরপুর থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এব্যাপারে শেরপুর থানায় ওই ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। তবে ৫০কেজি ওজনের প্রায় আড়াই‘শ বস্তা লবন বোঝাই ট্রাকের ভেতরে বিশেষ কোন মাদক দ্রব্য আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করছে পুলিশ।