crime tribunal20150908131909

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের সাবেক সাংসদ মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১। এই মামলায় অন্য তিন আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।মামলার আসামিরা হলেন মো. সাখাওয়াত হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মো. আকরাম হোসেন, ওজিহার মোড়ল, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মো. মজিবুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, আজিজ সরদার, কাজী ওহিদুল ইসলাম, লুৎফর মোড়ল, আব্দুল খালেক মোড়ল ও মশিয়ার রহমান। এই নয় আসামির মধ্যে কেবল সাখাওয়াত ও বিল্লাল কারাগারে রয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে ওজিহার মোড়ল,মো.আকরাম হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিপক্ষে এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সাত্তার পাহলোয়ান। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।যশোরের কেশবপুর আসনের সাংসদ সাখাওয়াত হোসেনকে গত বছরের ২৯ অক্টোবর এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বাকি আসামিদের মধ্যে কয়েকজনকে গত ১২ মে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকজন এখনো পলাতক।

প্রোসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর মধ্যে পলাতক সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে বলেছে।অভিযোগের উপাদান না পাওয়ায় তিনজনকে আদালত মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে এই প্রসিকিউটর জানান।২০১২ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি এই ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। গত ১৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। এরপর ২৬ জুন অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি হয়।বর্তমানে জাতীয় পার্টির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা সাখাওয়াত এক সময় ছিলেন জামায়াত নেতা।১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যশোর-৬ আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই জামায়াত ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।

মাওলানা সাখাওয়াত নামে বেশি পরিচিত এই রাজনীতিবিদ বিভিন্ন সময়ে এলডিপি ও পিডিপিতেও ঘুরে এসেছেন। গত সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।পাঁচ অভিযোগ : অভিযোগ ১: যশোরের কেশবপুর উপজেলার বোগা গ্রামে এক নারীকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ধর্ষণ।অভিযোগ ২: একই উপজেলার চিংড়া গ্রামের চাঁদতুল্য গাজী ও তার ছেলে আতিয়ারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা।অভিযোগ ৩: কেশবপুরের চিংড়া মো. নুরুদ্দিন মোড়লকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন।অভিযোগ ৪: কেশবপুরের হিজলডাঙার আ. মালেক সরদারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও খুন।অভিযোগ ৫: কেশবপুরের মহাদেবপুর গ্রামের মিরন শেখকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ওই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন।