Gazipur-(1)- 09 September 2015-Garments Worker Illness For Drinking Water-5

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫: গাজীপুরের কোনাবাড়ি শিল্প এলাকায় খালেক গ্রুপের কেয়া গার্মেন্টস কারখানার দু’শতাধিক শ্রমিক বুধবার কারখানার সরবরাহ লাইনের পানি পান করে অসুস্থ্য হয়েছে। এঘটনায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর রোকনুজ্জামান ও জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোবারক হোসেন জানান, গাজীপুরের কোনাবাড়ি শিল্প এলাকার জরুনস্থিত খালেক গ্রুপের কেয়া নীট কম্পোজিট কারখানার শ্রমিকরা বুধবার সকালে কাজে যোগ দেয়। শ্রমিকদের অনেকেই কারখানার ক্যান্টিনসহ সরবরাহ লাইন থেকে পানি পান করে। এর ঘন্টাখানেক পর থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একে একে শ্রমিকদের বমি, মাথা ঘোরানো ও পেট ব্যাথা শুরু হয়। এতে অন্ততঃ দুই’শ শ্রমিক পর্যায়ক্রমে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।

Gazipur-(1)- 09 September 2015-Garments Worker Illness For Drinking Water-1

অসুস্থ্যদের অনেকের খিচুনীও দেখা দেয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও তাদের লোকজন অসুস্থদের উদ্ধার করে স্থানীয় শরীফ জেনারেল হসপিটাল, কোনাবাড়ি ক্লিনিক, পপুলার হাসপাতাল ও হক জেনারেল হসপিটালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। অসুস্থ্যদের মধ্যে কারখানার সুয়িং সেকশনের নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেশী। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মাঝে আতংক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা কারখানার কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরে দুপুর পৌণে ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে এবং পাশর্^বর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুধবারের জন্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে কারখানার পানির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

Gazipur-(1)- 09 September 2015-Garments Worker Illness For Drinking Water-3

কারখানার একাধিক শ্রমিক জানায়, সকাল ১০ টার দিকে কারখানার কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকদের অনেকেই কারখানার কেন্টিনে নাস্তা করে পানি পান করে। অনেকে কারখানার সরবরাহ লাইনের পানি পান করে। এর ঘন্টা খানেক পর থেকে শ্রমিকরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এভাবে দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েূ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাদের বমি, পেট ব্যাথা, মাথা ঘোরাতে থাকে। অনেকের খিচুনীও দেখা দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।কোনাবাড়ি শরীফ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক বাবুল আহমেদ শরীফ জানান, বেলা পৌণে ১২টার দিকে ওই কারখানার শতাধিক অসুস্থ্য শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মাস হিস্টেরিয়া হতে পারে।