khoka-bnp

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ নভেম্বর ২০১৫: পল্টন থানার রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা চার্জশিট আমলে নিয়ে ওই পরোয়ানা জারি করেন। এদিন অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল আদালতে।গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার পুলিশ পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ ঢাকার সিএমএম আদালতে এ চাজশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল্লাহ প্রধান।১৪ অক্টোবর রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে বিগত নির্বাচন ঠেকানোর উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক সভায় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা নেতাকর্মীদের দা, কুড়াল, খুন্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

ওই বক্তব্যের পর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে তদন্ত করে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন এসআই খায়রুল মো. শহীদুল্লাহ প্রধান। এছাড়া খোকার বিরুদ্ধে ২০১০ সালেও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একটি মামলা হলেও মামলাটি আদালত পরে আমলে নেয়নি। গত ২০ অক্টোবর সাদেক হোসেন খোকাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার ৩ নং বিশেষ জজ আদালত।উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকবন্ধু বলায় এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মামলায় অভিযোগে এক মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। রোববার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত সিএমএম লুৎফর রহমান শিশিরের আদালত।

গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ওই দিন প্রতিবেদনটি ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে উত্থাপন করা হলে ০৮ নভেম্বর বাদীকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন বিচারক।গত বছরের ১৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক দণ্ডবিধির ১২৩ (ক) ধারায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।ওইদিন বিচারক সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহকারী কমিশনারের (এসি) নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার ঘটনা তদন্ত করতে গোয়েন্দা পুলিশের ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।