মেট্রো-রেলের কাজ শুরু মার্চে;রুট পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬ : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী মার্চে মেট্রো-রেলের মূল কাজ শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে মেট্রো-রেলের রুট পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেই রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল হবে উড়াল পথে, সমতল দিয়ে নয়। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে শব্দ প্রতিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এর ফলে শব্দ দূষণের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ক্যাম্পাসের সন্নিকটে মেট্রো স্টেশনও থাকবে।সড়ক পরিবহন মন্ত্রী শুক্রবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে পরিবার দিবস উপলক্ষ্যে মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে.এল. ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসক্লাব ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মেট্রোরেলের সাউন্ডপ্র“ফ সিস্টেম আছে। তাই সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্যই সেখানে একটি স্টেশন করা হয়ে ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সাউন্ডপ্র“ফ থাকার কারণে কেউ এখানে টেরই পাবে না ।অথচ এখন যে যানবাহন সেখানে চলে সেগুলো শব্দদূষণ করে উল্লেখ ক রে তিনি বলেন, মেট্রোরেল হলে সে যানবাহনগুলো আর চলবে না।ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সকল নাগরিকের সমান অধিকার। এদেশে আবহমান কাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে মধ্য দিয়ে সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করছে। সরকার কোনো অপশক্তিকে এ সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ নিতে দেবে না ।মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আজ আমাদের সকলের অভিন্ন শত্র“। তিনি এ শত্রুর মোকাবিলায় দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

অবিশ্বাসের অবস্থান থেকে গণতন্ত্রের ফুল ফোটানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, সকলকে ধারণ করে গণতন্ত্র বিকাশ ও প্রস্ফুটন ঘটাতে হবে।সংখ্যালঘুদের জমি দখল রোধ করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে উদ্দেশ্য করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, তোমাকে ডাকবে কেন তারা? তুমি যদি এই এলাকার এমপি হও, তাহলে তুমিই তাদের ডেকে নিয়ে বসবে। এখানে বসো আর তোমার বাড়িতে বসো, এক জায়গায় বসো। এসি ল্যান্ডকে ডাকো। সিএস রেকর্ডে কয় একর আছিলো, আর এখন কয় একর আছে দেখো।তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ করেছে সংখ্যালঘুরা। ৫৪ থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত সব আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছে সংখ্যালঘুরা।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমি এই দেশে জন্মেছি এই দেশেই থাকবো। আপনাদের বাপ দাদা যেভাবে এই দেশে জন্মেছে সেইভাবে আমাদেরও বাপ দাদা এই দেশে জন্মেছে।

বক্তব্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে সুরঞ্জিত বলেন, সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, ক্ষমতায়ন থাকবে না, তাহলে এই গণতন্ত্র ধরে রাখা যাবে না। তাহলে আপনাদের আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য কী, তাহলে আপনাদের আর মুসলিম লীগের মধ্যে বেশ-কম কী?অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।অনুষ্ঠানে কে বি রায় চৌধুরী ও জে. এল সেনকে মরণোত্তর এবং অনিল চন্দ্র নাথ ও ফনী ভূষণ চৌধুরীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।