Gournadi Photo.17-01-16

দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল), ১৭ জানুয়ারি ২০১৬: বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার ওসিসহ দুই পুলিশ সদস্যের দুই দফা নির্যাতনে গুরুতর আহত গাছ ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার আসাদুজ্জামান বাদল সেরনিয়াবাত আগৈলঝাড়া উপজেলার শেরাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও গৈলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় এক কনস্টেবলকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হলেও থানার ওসি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,শনিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম থানার পিকাপ নিয়ে স্থানীয় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সেরালের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সড়কের পাশে রাখা গাছ পিকআপে বাধলে ওসি মনিরুল ইসলাম এবং পিকাপ চালক মোখলেছুর রহমান গাছ ব্যবসায়ী বাদলকে এলাপাথারী লাথী ও চড় থাপ্পর মারেন।

নির্যাতনের শিকার বাদল অভিযোগ করেন, মারধরের পর ওসি এবং তার ড্রাইভার পিকআপ নিয়ে চলে যান। পুলিশের নির্যাতনে আহত হওয়ার ঘটনায় বিচার চাইতে বাদল ঘটনার পরপরই স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র শেরালের বাড়ি যান। বাদলকে হাসানাত আবদুল্লাহ’র বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওসি মনিরুল। এ সময় ওই বাড়ির চত্ত্বরে দ্বিতীয় দফায় বাদলকে মারধর করে আহত করেন ওসি মনিরুল এবং তার পিকআপ ড্রাইভার মোথলেছুর রহমান। পরে স্থানীয়রা বাদলকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বাদলের চাচাতো ভাই মো. লাবু সেরনিয়াবাত অভিযোগ করেন, পুলিশের দুই দফা নির্যাতনে বাদলের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার এক চোখের অবস্থা খারাপ। পুরো শরীরে আঘাতের বহু চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। গতকাল (রবিবার) দুপুরে ওসি মনিরুল এমপি হাসানাতের বাড়ীর সামনে বসে আহত বাদলের পরিবারে সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় তিনি দ্রুত এমপির বাসভবনে প্রবেশ করে রক্ষা পান।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, পতিহার এলাকায় রাস্তার পার্শে গাছ রাখায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এনিয়ে পিকাপের চালক কনেষ্টবল মোখলেছ এবং গাছের মালিক বাদলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে স্থানীয় এমপি’র বাড়িতে বসে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছৈ আমার সাথে নয়।
জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কিংবা কোন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে পুলিশ মারধর করেছে কিনা তা তার জানা নেই। তবে কাটা গাছ রাস্তায় রাখা নিয়ে পুলিশের পিকআপের চালকের সঙ্গে এক ব্যক্তির বাকবিতন্ডা হয়েছে বলে খবর পেয়ে কনস্টেবল মোখলেছুর রহমানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। ঘঁনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ সুপার জানান।