01বলিউডে এখন ‘টক অব দ্য টাউন’ হৃতিক-কঙ্গনা কোন্দল। সালমান-শাহরুখ দ্বন্দ্ব নিয়েও এত হইচই হয়নি। সম্প্রতি মুম্বাইতে এক অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা।
অনুষ্ঠানে যখন ‘কুইন’ তারকাকে হৃতিক ও তাঁর মধ্যকার কোন্দল, দুজনের আইনি নোটিশের (লিগ্যাল নোটিশ) প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা প্রশ্ন করেন; কঙ্গনা সে সময় নীরবই ছিলেন। পরে যখন আবারও তাঁকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন কঙ্গনা বলেন, ‘কখনো কখনো আপনাদের একটু জায়গা করে দিতে হবে। অন্তত তারকাদের ব্যক্তিগত জায়গাটুকুতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দৃঢ়তার অর্থ এই নয় যে জীবনের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা কিংবা ঝামেলা ছাড়াই হেঁটে চলে যাওয়া। জীবনে দৃঢ়তার অর্থ এসব কিছুর বিপরীতে মাথা উঁচু করে চলার নাম।’
সংবাদমাধ্যমকে কঙ্গনা রনৌত আরও বলেছেন, ‘সবারই তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত।’
যা হোক, যে বিষয়টি নিয়ে কঙ্গনা মুখ খুললেন সেই আলোচিত কোন্দলের শুরুতে হৃতিক-কঙ্গনা পরোক্ষভাবে পরস্পরকে নানা বাঁকা মন্তব্য করেছিলেন। বলিউডের এই দুই তারকার সম্পর্কের অবনতি ঘটার বিষয়টি টের পাওয়া গিয়েছিল সে সময়েই।
এরপর কঙ্গনাকে আইনি নোটিশ পাঠান হৃতিক। নোটিশে হৃতিকের অভিযোগ ছিল কঙ্গনা তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
হৃতিকের আইনি নোটিশ পাঠানোর পর পাটকেলই খান হৃতিক। কঙ্গনা রনৌত তাঁর আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকীর মাধ্যমে হৃতিককে পাল্টা ২১ পাতার দীর্ঘ একটি আইনি নোটিশ পাঠান। সেই আইনি নোটিশের অভিযোগে কঙ্গনাকে ভয় দেখানো ও অপদস্থ করার মতো গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছিল।

বলিউডে কঙ্গনা রনৌত আর হৃতিক রোশনের সম্পর্কের স্মৃতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল ঘোলা করা হচ্ছিল। এর মধ্যেই পরোক্ষ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। আর এরপর তাঁদের দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত আদালতে ওঠে।
দিন কয়েক আগে কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘সম্পর্ক হচ্ছে অনেকটা শিশুর মতো; এর জন্য অনেক যত্নের প্রয়োজন পড়ে। যখন ঘড়ি ধরে উদয়াস্ত কাজ করতে হয়, তখন সম্পর্ক নিয়ে আর কী আশা করা সম্ভব? তখন মৃত্যু ঘটে সম্পর্কের আর শুধু অনুতাপ থাকে।’
কঙ্গনার এ বক্তব্য হৃতিক-কঙ্গনার সম্পর্কের বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট করে। মিড-ডে।