বাংলাদেশী কার্গো যাবে যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়া। নিরাপত্তায় রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি’ কাজ শুরু করার পর নতুন মর্যাদা পেয়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।এর ফলে ঢাকা থেকে এখন যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় কার্গো চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, যা কয়েক মাস ধরে বন্ধ আছে।সোমবার বিমান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ৫মে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির কারণে অস্ট্রেলিয়া সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রী জানান,হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঢেলে সাজাতে চাই।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৫ মে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজ আরএ-৩ (ইইউ এভিয়েশন সিকিউরিটি ভ্যালিডেটেড রেগুলেটড এজেন্ট) হিসাবে মর্যাদা লাভ করে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে কার্গো বিমান পাঠাতে নিরাপত্তা সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতা অনুসারে এই মর্যাদা আবশ্যক।গত ২৪ মার্চ রেডলাইন কাজ শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বল্প সময়ে রেডলাইন কর্তৃক প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুসারে একটি আলাদা নিরাপত্তা জোন তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিনটি এয়ারলাইন্সকে ওই জোনের মাধ্যমে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য নির্বাচন করা হয়; যারা বাংলাদেশ থেকে কার্গো পরিবহন করতে পারবে।এই তিন এয়ারলাইন্স হচ্ছে- বাংলাদেশ বিমান, ইতিহাদ এবং লুফথানসা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষের এক পর্যায়ে গত ৮ মার্চ ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় যুক্তরাজ্য। এর আগে অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে। বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়ে এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় সরকার। এরপর যুক্তরাজ্যের পরামর্শ নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়।এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটির কোম্পানি রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেডকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা উন্নয়নে নিয়োগ দেয় সরকার।

মন্ত্রী বলেন, গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে কার্গো চলাচলে অস্ট্রেলিয়ায় যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় শাহজালালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে তা শিথিল করেছে দেশটির সরকার। ৫ মে ঢাকায় দেশটির হাই কমিশন এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।