Pabna Pic-3

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পাবনায় জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট। এবার দেশী গরুর প্রতি চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। দামও নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারা হাট ঘুরে ঘুরে কিনছেন পছন্দের পশু। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় গরু আমদানী বন্ধ থাকায় খুশি খামারী ও ব্যবসায়ীরা।

খামারী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশীয় খামারীদের কাছে যে পরিমাণ গরু আছে তা দিয়েই কোরবানীর পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে শেষ মুহুর্তে ভারতীয় গরু আসলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে খামারী ও ব্যবসায়ীদের ।

জানা যায়, উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম বড় পশুর হাট হিসেবে পরিচিত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অরণকোলা হাট। এছাড়াও পাবনা শহরতলীর আরিফপুর হাজিরহাট। যে হাটে প্রতিদিন বিক্রি হয় কয়েক কোটি টাকার পশু। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এই হাটে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানীর পশু বেচাকেনা। দুরদুরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসছেন পশু বেচা-কেনা করতে। এবার প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা দেশী গরুর প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। দামও সহনশীল পর্যায়ে থাকায় হাট ঘুরে পছন্দের কোরবানীর পশু কিনতে পেরে খুশি হচ্ছেন ক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, পশুর হাটগুলোতে প্রচুর পরিমাণ গরু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামুলক কম। তবে ভারতীয় গরু আমদানী বন্ধ থাকায় খুশি তারা। বলছেন, ভারতীয় গরু আসলে লোকসানে পড়তে হবে দেশের খামারীদের। এদিকে কোরবানীর পশু কেনাবেচা শুরু হলেও হাটগুলোতে জালনোট সনাক্তকরণ মেশিন ও পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য মেডিকেল টিমের দেখা মেলেনি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দাবি, এ বিষয়ে জরুরী ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

অরণকোলা হাটের ইজারাদার মিজানুর রহমান বলছেন পশু কেনা বেচা করতে আসা মানুষ যাতে নির্বিঘেœ পশু কেনাবেচা করতে পারেন সে ব্যাপারে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর দাবী করছে, জেলার উল্লেখ্যযোগ্য হাটগুলোতেই পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভেটেরিনারী সার্জন বসানো হচ্ছে। যাতে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই পশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ক্ষতির সন্মুখিন যাতে না হন। জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর পাবনা জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা ১ লাখ ৩২ হাজার। ইতিমধ্যে উৎপাদন আছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২০টি। যা চাহিদার চেয়ে প্রায় ৫ হাজার বেশি। সেহেতু এই অঞ্চলে ভারতীয় বা বাইরে থেকে গরুর আমদানী না হলেই ভাল হবে।

কামাল সিদ্দিকী, পাবনা প্রতিনিধি।