%e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%9c%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%bf-%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%81

কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া তিন বাংলাদেশি জেএমবি জঙ্গির মধ্যে একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তার নাম ফারুক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ‘এই ফারুকই ময়মনসিংহে পুলিশের ভ্যানে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া সেই জঙ্গি ফারুক।’ মঙ্গলববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা সম্পর্কিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতার গোয়েন্দারা ৬ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি বলে শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ফারুক নামে একজনকে আমরা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছি। ফারুক ২০১৪ সালে ময়মনসিংহে ত্রিশালে পুলিশ ভ্যানে হামলা চালিয়ে ছিনতাই হওয়া আসামি। সে সময় তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও অফিসিয়ালি আমরা কিছুই জানি না। এটি অফিসিয়ালি নিশ্চিত হতে আরও দুই একদিন সময় লাগবে। এ বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘যদি এই ফারুকই সেই ফারুক হয় তাহলে তাকে দেশের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে না। কারণ ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে একটি চুক্তি করা আছে।’ তিনি বলেন, ‘কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া বাকি দুই জনের পরিচয় সম্পর্কে আমরা এখনও কিছু অবহিত নই। তবে সেখানে আটক ফারুক ত্রিশাল হামলার জঙ্গি হলে তা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। তবে যতটুকু জেনেছি এই ফারুকই, সেই ফারুক।’

গত রবিবার রাতে উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরাম রাজ্যের আইজল থেকে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় ছয় জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা হলো- আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে এনাম ওরফে কালো ভাই, মাওলানা ইউসুফ ওরফে বক্কর ওরফে আবু খেতাব, জাহিদুল শেখ ওরফে জাফর ওরফে জবিরুল, মো. রফিকুল ওরফে মো. রুবেল ওরফে পিচ্চি, শহিদুল ইসলাম ওরফে সুরয়ে ওরফে শামীম এবং আবুল কালাম ওরফে করিম। এদের মধ্যে রুবেল, জাহিদুল এবং আনোয়ার হোসেন ফারুক বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে এসটিএফ। ২০১৪ সালের পর থেকে এসব জঙ্গিরা পলাতক ছিলো।