%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%b0সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় এসেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহর মরদেহ।বুধবার সন্ধ্যায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে কফিন নিয়ে যাওয়া হয় মহাখালীর ডিওএইচএসে তার বাড়িতে।বাবার লাশ নিয়ে আসেন এই বিএনপি নেতার ছোট ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান। বড় ছেলে শাহ রেজাউল হান্নানবিমানবন্দরে যান লাশ আনতে।বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাদের মধ্েয উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় নেতা আফজাল এইচ খান, খায়রুল কবির খোকন, শাহজাদা মিয়া, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, সায়েদুল আলম বাবুল, শামীমুর রহমান শামীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, শরীফুল আলম, শায়রুল কবির খান, আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম।

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের র‌্যাফেলস সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হান্নান শাহ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নেওয়া হয় মহাখালী ডিওএইচএস’র বাসায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া মহাখালীর বাসায় হান্নান শাহ’র মরদেহ দেখতে যাওয়ার কথা রয়েঝে । তিনি হান্নান শাহ’র শোক সন্তপ্ত পরিবারের পাশে থেকে সমবেদনা জানাবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এসব তথ্য জানান।

এদিকে রাতে মরদেহ বাসা থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হবে।এরপর বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএস জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।ওইদিন সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ জানাজা। এরপর হান্নান শাহ’র মরদেহ রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মরচ্যুয়ারিতে। সেখান থেকে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গাজীপুরে। সকাল ১০টায় স্থানীয় রাজবাড়ি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম জানাজা।

এরপর সেখান থেকে মরহুমের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। সেখান ষষ্ঠ জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হবে।এর আগে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ এশা সিঙ্গাপুরের ছেরাঙ্গন রোডের অ্যাঙ্গলিয়া জামে মসজিদে হান্নান শাহ’র প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।মঙ্গলবার ভোর রাতে সিঙ্গাপুরের র‌্যাফেলস্ হার্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হান্নান শাহ। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগে ভুগছিলেন।সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন হান্নান শাহ। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে হান্নান শাহকে ভর্তি করা হয় র‌্যাফেলস্ হার্ট সেন্টারে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই সেন্টারে চিকিৎসক ডা. অ্যালভিন এনজি’র নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক হান্নান শাহ’র হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করে চারটি রিং বসায়। বিকেলে করানো হয় এনজিওগ্রাম। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় খুলে দেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টও। কিন্তু এর ১৩ দিনের মাথায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।

বিএনপি নেতারা জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে আদালতে হাজিরা দিতে বের হওয়ার সময় হান্নান শাহ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ১১ সেপ্টেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার (এনজিওপ্লাস্টি) করা হয়েছিল।সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ১৬ দিনের মাথায় তার মৃত্যু ঘটে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হান্নান শাহ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর বিএনপিতে সক্রিয় হন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন তিনি। গাজীপুর থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মঙ্গলবার এশার নামাজের পর সেরাঙ্গুনের আঙ্গুলিয়া জামে মসজিদে হান্নান শাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিঙ্গাপুর বিএনপি শাখার সভাপতি আবদুল কাদের, যুবদল সভাপতি মোস্তফা কামালসহ কয়েকশ প্রবাসী বাংলাদেশি এই জানাজায় অংশ নেন বলে বিএনপি নেতারা জানান।