বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পূর্বাপর বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূণ্যের নিচে অবস্থান করছে। শুধু বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই শুধু নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোই কোন নিরাপত্তা নাই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্তহত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন।জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নিরেপক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে কারান্তরীনও করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে মানুষ একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন, গোষ্ঠী, বর্ণ ও জাতিগত সংঘাতে অবলীলায় খুন ও গুপ্ত হত্যার শিকার হচ্ছে এবং অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে মানবাধিকার দিবস ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের মৌলিক মানববাধিকারহারা নির্যাতিত মানুষ প্রতি সহমর্মিতা এবং মৌলিক অধিকারের জন্য আত্মদানকারীদের শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, বলেন, এ বছরের মানবাধিকার দিবসের শ্লোগান হচ্ছে বছরের ৩৬৫ দিনই মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মনে হয় ৩৬৫ দিনই এদেশের মানুষের মানবাধিকার হরণের দিবস। এর অবসানে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।এদিকে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে পৃথক এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে তা নজিরবিহীন।