শ্রমিক-মালিক গড়ব দেশ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে।দিবসটি পালন উপলক্ষে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বাসস প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাগণ জানান, সেসব কর্মসূচীর মধ্যে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ছাড়াও ছিল উল্লেখযোগ্য নানা কর্মসূচী।

বাংলাদেশে গত এক যুগে প্রায় ১২ শ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য লোভী মালিকদের’ আইন না মানার প্রবণতাকে দায়ী করা হলেও সেদিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের।একজন শ্রমিকের কর্মকালীন সময়ে কী কী নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, সে বিষয়ে জাতীয় বিল্ডিং কোডে বিস্তারিত বলা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকছে। সোমবারÑ মহান মে দিবস। বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য-সংহতির দিন। ১৮৮৬ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ন্যায্য মজুরি, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ ও সাপ্তাহিক ছুটির দাবিতে ধর্মঘট চলাকালে পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারান ১১ শ্রমিক।পরে তীব্র আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র। ১৮৯০ সাল থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে মে দিবস হিসেবে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই দিনটিতে সাধারণ ছুটি থাকে। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিনটি পালন করা হচ্ছে।

১৮৮৬ সালের এক মে, ন্যায্য মজুরি, কাজের সময় আট ঘন্টা ও সপ্তাহিক ছুটির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর শ্রমিকদের ধর্মঘট পালনের সময় হে’ মার্কেটের সামনে হঠাৎ তাদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে মারা যান ১১ শ্রমিক। তারপর দাবানলের মতো আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।এক পর্যায়ে শ্রমিকদের এ দাবি শ্রমিক-জনতার দাবিতে পরিণত হয়। দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় মার্কিন প্রশাসন। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে, শিকাগোর শ্রমিকদের আত্মত্যাগের দিনটিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরের বছর থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ হিসেবে।আসা যাক, শ্রমিক অধিকারে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে। আহাজারি আর কান্না। এই কান্না স্বজন হারানোর। একটু স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য করতে এসে কারখানায় বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করে লড়ছেন দারিদ্রের সঙ্গে। মে দিবস কিংবা এর চেতনার কোন প্রতিফলন নেই তাদের জীবনে।এখনো তাদের লড়াই করতে হচ্ছে নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য, সংগ্রাম করতে হচ্ছে ন্যায্য মজুরি আদায়ে। বৃহত্তর এ জনশক্তিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের মধ্যম বা উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কতোটুকু? দেশের যথাযথ উন্নয়নে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তির দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ। শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ আর তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিলেন তিনি।

মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন শ্রমিক সমাবেশ করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি কামরুল আহসান। আরো বক্তৃতা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, অটো টেম্পো রিক্সা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক, বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সহসভাপতি আমজাদ হোসেন, করিম জুট মিলস্্ লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা, শ্রমিক-মালিকের সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজের নিরাপত্তা, ন্যায্য মজুরি প্রদানসহ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। সমাবেশ শেষে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের মিছিল প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করে।বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন মহান মে দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আলী রেজা হায়দার মহান মে দিবসের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বজলুর রহমান বাবলু পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ১৫ হাজার টাকা করার দাবিসহ ১২ দফা দাবি পেশ করেন। আলোচনা সভা শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি তোপখানা রোড ঘুরে আবার প্রেসকলাবে গিয়ে শেষ হয়।
খুলনা সংবাদদাতা জানান, এবারের প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আজ সকালে জেলার বয়রা¯’ বিভাগীয় শ্রম দপ্তর প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তর এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।সভায় প্রধান অতিথি বলেন, শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে সুসম্পর্কই শিল্পকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। কলকারখানায় যাতে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিবেশে সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে তিনি মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্ততের যুগ্ম পরিচালক আখতার হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, এফআর জুট মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ মোঃ ফজলুর রহমান, বিএফএফইএ’র পরিচালক এসএম হুমায়ুন কবীর, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বি এম জাফর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক মহর আলী মোল্লা এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের খুলনা শাখার মহিলা সম্পাদিকা মনিরা সুলতানা। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপ শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান। এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষে কেডিএ নিউমার্কেট থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বয়রা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

ভোলা প্রতিনিধি জানান, জেলায় শ্রমিক লীগ মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করে। সকালে শহরের বাংলা স্কুল মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু। সভাপতিত্ব করেন জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি মো: আবু তাহের। পরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।সভায় অন্যান্যের মধ্যে পৌর মেয়র মো: মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ আসরাফ হোসেন লাবু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইউনুছ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজিবুল্লা নাজু, জেলা শ্রমিক লীগ সম্পাদক মো: শাহে আলম, জেলা যুবলীগ সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদুল আলম বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে মহান মে দিবস গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকার শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। সরকার শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বাংলা স্কুল মাঠে আসে। সেখান থেকে প্রায় হাজার শ্রমিকের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব সামনে গিয়ে শেষ হয়।

লালমনিরহাট সংবাদদাতা জানান, যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে সেখানে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়। হাজার হাজার শ্রমিক নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটির উদ্বোধন করেন আবু সালেহ মোঃ সাঈদ দুলাল এমপি।

অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা কামারুজ্জামান সুজন, সেচ্ছা সেবক লীগের জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সভাপতি বাবু পুলিন চন্দ্র রায় প্রমুখ। দিবসটিকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন দিনভর নানা কর্মসূচী পালন করছে।

জয়পুরহাট সংবাদদাতা জানান, জেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মিরা যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী ঐতিহাসিক মহান মে দিবস পালন করছে।সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দান থেকে শ্রমিকদের একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহর পদক্ষিণ করে। জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান র‌্যালির নেতৃত দেন। র‌্যালিতে শ্রমিক লীগ, চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন, শ্রমিক ফ্রন্ট, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, হোটেল রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়ন, মোটর ও গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, মহিলা দর্জি শ্রমিক, পাদুকা শ্রমিক, হরিজন শ্রমিক ইউনিয়নসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।র‌্যালি শেষে কালেক্টরেট চত্বরে এক শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম।
আর্ন্তজাতিক এ শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জয়পুরটাট শহরের মুক্তমঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পাইকগাছায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক ও মহান মে দিবস পালিত

খুলনা:খুলনার পাইকগাছায় র‌্যালী আলোচনাসহ নানা আয়োজনে রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনসহ একাধিক সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রমিক ও মহান মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার সকালে উপজেলা ও পৌর জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে পৌর সদরে র‌্যালী শেষে জিরোপয়েন্টের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা কমিটির সভাপতি শেখ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি সাবেক এমপিঅ্যাড. সোহরাব আলী সানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী, সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, পৌর আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু। উপজেলা আ.লীগ ও শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ নেতা কর্মিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, এসএম রেজাউল হক জিএম, ইকরামুল ইসলাম, শাহাজান কবির, আলহাজ্ শেখ হারুনুর রশিদ হিরু, ইকবাল হোসেন খোকন, আবুল কালাম আজাদ, অহেদুজ্জামান মোড়ল, বাবলুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, রাধিকা সরদার, জাহিদুর রহমান, রাকিব, জাহিদুল, রিপন, মিঠুন, মেহেদি প্রমুখ। অনুরূপভাবে বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন সকালে নিজস্ব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ক্যালো ব্যাজ ধারণ ও র‌্যালী এবং বিকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হ্যান্ডলিং ইউনিয়নের সভাপতি চন্দন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়াদ্দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কপিলমুনি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র (ফাঁড়ির) ওসি (তদন্ত) এসএম আজিজুর রহমান, হরিঢালী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরের প্রধান শিক্ষক হরে কৃষ্ণ দাশ ও কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিএম আঃ রাজ্জাক রাজু প্রমুখ। এ ছাড়া উপজেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নসহ একাধিক সংগঠন র‌্যালী ও আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।উল্লেখিত একই ধরণের নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সিলেট, বরগুনা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুড়া, গোপালগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালি, মেহেরপুর, মাদারিপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে।