গাজীপুরের এক আবাসিক হোটেলে দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তরুণী ও যৌণকর্মী এবং খদ্দেরসহ ৪৭ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত এসময় হোটেলটি তালাবদ্ধ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

গাজীপুরের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বি,এম, কুদরত-এ-খুদা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপোড়া এলাকাস্থিত রোজ ভেলি নামের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় জেলার ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজীপুরের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বি,এম, কুদরত-এ-খুদা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রাসেল মিয়া শুক্রবার ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ওই হোটেল থেকে ২৬জন যৌণকর্মী ও তরুণী এবং ২১জন পুরুষ দালাল ও খদ্দেরসহ মোট ৪৭জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটককৃতদের হাজির করা হয়। আদালত এসময় সরকারী আদেশ অমান্য করে অসামাজিক ও অশ্লীল কর্মকান্ড পরিচালনা করে গণউপদ্রব সৃষ্টি করার অপরাধে আটককৃত ২১জন পুরুষ প্রত্যেককে একমাসের করে এবং ২৬ তরুণীর প্রত্যেককে ১৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় আদালত হোটেলটি তালাবদ্ধ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। অভিযানের খবর পেয়ে হোটেলের মালিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর আগে গত ১ জুলাই রাতে একই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২২ যৌণকর্মীসহ ৩৪জনকে একই অপরাধে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেন।

স্থানীয়রা জানান, এ হোটেলসহ গাজীপুরের অধিকাংশ আবাসিক হোটেলগুলোতে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃতিসহ নানা অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে এলাকাবাসিরা একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও ওইসব কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি।