শহীদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর উদ্যোগে আজ ১৮/১০/২০১৭ইং তারিখ রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যবে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন জঙ্গী দমনের যুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা সরকারে বা বিরোধী দলে থাকবে, রাজাকাররা নয়। রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশের চাকা উল্টোদিকে চালানোর জন্য ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের এই হত্যাকান্ড, সেখানে ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল ও রেহাই পায় নাই, জিয়া হচ্ছেন সামরিক শাসনের প্রবক্তা, বহুদলীয় গনতন্তের প্রবক্তা নয়, জিয়া খল নায়ক, সাংবিধানিক পদে থেকে ইতিহাস চর্চা, রাজনীতি চর্চা করবেন না। খালেদা জিয়া পাতা ফাদে পা দিবেন না, জামায়াত কে ক্ষমতার বাহিরে রাখতে হলে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাহিরে রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন,আজ ১৮ অক্টোবর, শেখ রাসেলের জন্মদিন। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে, এখন তিনি ৫৩ তে পা রাখতেন। কিন্তু বাঙালী জাতির মানস পটে এখনো শেখ রাসেল এক শিশু। বাংলাদেশের শিশু অধিকার, বাংলাদেশের শিশুর রূপকল্প ভাবলেই শেখ রাসেলের মুখচ্ছবি আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। একজন শিশু, মাত্র ১০ বছর ১০ মাস বয়সে ঘাতকের বুলেটে পৃথিবীর সব আনন্দ, সব ভালবাসা ত্যাগ করে চলে গেছে। কিন্তু শহীদ শেখ রাসেল যেন এখনো বেঁচে আছে, বাংলাদেশর সব শিশুদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে। সব শিশুদের জন্য রাসেল যেন এক উদ্দীপনা, অনুকরণীয় উদাহরণ।

আজ বাংলাদেশের শিশুদের অবস্থা বড় নাজুক। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে যে অপশাসন সেই অপশাসনই শিশুদের বিকাশে অন্তরায় হয়ে আছে। স্বৈরাচারী একনায়ক জিয়াউর রহমান কেবল শেখ রাসেলকে হত্যা করেনি, এদেশের শিশুদের শৈশবকে হত্যা করেছে, তাদের ভবিষ্যতকে হত্যা করেছে। জিয়া শিশুদের খেলার মাঠে দালান বানিয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি করে ভুল শিক্ষা দিয়েছে। শিশুদের বিনোদন ও সংস্কৃতিকে নিস্পেষিত করেছে বুটেরতলায়। আজ তাই, মাঠহীন শিশুরা কম্পিউটার গেমস এ আসক্ত হয়। হতাশ স্বপ্নহীন শিশুরা ব্লু হোয়েলে আসক্ত হয়ে আত্ম হননের পথ বেছে নিচ্ছে।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সুষ্ঠু বিকাশে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশে^ সবচেয়ে ‘শিশুবান্ধব’ নেতাদের একজন, এর কারণ শেখ রাসেল। সরকার শিশু বান্ধব বাজেট করেছে, শিশু অধিকারে অগ্রাধিকার কর্মসূচী নিয়েছে। কিন্তু শিশুদের সুন্দর বেড়ে ওঠার মূল দায়িত্ব নিতে হবে পরিবারকেই। এখানে শেখ রাসেল হতে পারে সব পরিবারের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। রাসেল খেলতো, আমাদের শিশুদের হাতে মোবাইল না দিয়ে তাদের খেলতে দিন। রাসেল তার পরিবারকে খুব ভালোবাসতো। আমাদের শিশুদের জন্য পরিবারকে আকর্ষণীয় করে তুলুন। এভাবে শেখ রাসেলের ছোট্ট জীবনটা পাল্টে দিতে পারে বাংলাদেশের সব শিশুর জীবন।তাই আজ এই জন্মদিনে, আমি সব পরিবারকে বলি, আপনার শিশুকে রাসেলের গল্প বলুন। দেখবেন সে ব্লু হোয়েলে আসক্ত হবে না; সে হতাশ হবে না। পরিবার কেন্দ্রিক এক অদম্য শিশু রাসেল। তার মতো করে সব শিশুকে বেড়ে উঠতে দিলেই আমাদের আগামী প্রজন্ম সুন্দর হবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ এর পরিচায়লনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাদ, মজিবুর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো: আতাউর রহমান, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, সৈয়দ মাহমুদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, নাসরিন জাহান শেফালী, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড: সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোহাম্মদ ইসলাম, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, হাসিবুর রহমান বাচ্চু, দেওয়ান আরিফুল ইসলাম, জাকিয়া সুলতানা শেফালী, মিল্লাত হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান কাফি, রওশন জামির রানা, এন আই আহম্মেদ সৈকত, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল ইসলাম হাওলাদার প্রমূখ।