বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তা সরকারের ধোঁকাবাজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। চুক্তিতে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তার কোনোটাই পূরণ হওয়ার সুযোগ নেই। এটা আসলে নির্বাচনকে সামনে রেখে মানুষের সঙ্গে সরকারের একটি ধোঁকাবাজি।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ওই সমাবেশের আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন নামের একটি সংগঠন।আমির খসরু বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই, আছে শাসকের আইন। শাসক নিজের প্রয়োজনে সুবিধা মতো আইন প্রণয়ন করেন।খালেদা জিয়ার মামলার সঙ্গে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের যোগসূত্র আছে দাবি করে আমির খসরু বলেন, আদালতের মাধ্যমে সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য করার ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্যই প্রধান বিচারপতিকে বিদেশে পাঠিয়েছে আইন-আদালত সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এই সরকার।তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের শেষ বাধার জায়গা ছিল বিচার বিভাগ। সেটা তারা বুঝতে পেরে বিচার বিভাগকে একটা প্রকল্প হিসেবে নিয়েছে। প্রকল্পটা হচ্ছে পুরো বিচার বিভাগকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।

বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধি নয় দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার শুধু মানুষের ভোটাধিকার নয়, সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে কি কোনও নির্বাচিত সরকার আছে? একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের কাছে জনগণের অনেক ধরনের দাবি থাকতে পারে। কিন্তু যে সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্বই করে না, তাদের কাছে আমাদের কোনও দাবি নেই। দাবি করেও লাভ নেই।আমির খসরু বলেন, সরকার যদি এবারও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করে নিজেদের ঘরে ফসল তুলতে চায়, তাহলে ভুল করবে। এদেশের মানুষ আর ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের বড় ধরনের মূল্য দিয়ে বিদায় হতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ড. মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।